
সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জামিন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা নাকি রিভিশন মামলা দায়ের করতে হবে?
দায়বর্জন বিবৃতি (DISCLAIMER)! শুধুমাত্র পাঠকের বোঝার সুবিধার্থেই বাংলা ভাষায় এই রায়টির অনুবাদ করা হয়েছে। বাংলায় অনূদিত এ রায়কে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহারিক ও সরকারি কাজে শুধুমাত্র মাননীয় আদালত প্রকাশিত ইংরেজি রায়টিকে যথার্থ বলে গণ্য করা হবে এবং রায় বাস্তবায়নের জন্য ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত রায়টিকেই অনুসরণ করতে হবে।
এই বিষয়টি 16 SCOB [2022] AD 89 মামলায় নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আপিল বিভাগ
উপস্থিত:
মাননীয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, প্রধান বিচারপতি
মাননীয় বিচারপতি মোঃ নূরুজ্জামান
মাননীয় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
মাননীয় বিচারপতি বোরহানউদ্দিন
মাননীয় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম
মাননীয় বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ
ফৌজদারি পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ২১৪/২০২২
(হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক Criminal Revision No.2330 of 2021 এ ০৫ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে প্রদত্ত আদেশ থেকে উদ্ভূত)
Minaz Ahmed ও অন্য একজন
. . . পিটিশনারগণ
-বনাম-
Arif Motahar ও অন্যান্য
. . . রেসপন্ডেন্টগণ
পিটিশনারগণের পক্ষে:
জনাব মুরাদ রেজা, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং জনাব মোঃ খুরশীদ আলম খান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট; নির্দেশনায় জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড।
রেসপন্ডেন্ট নং ১-২ এর পক্ষে:
জনাব রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং জনাব মোস্তাফিজুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট; নির্দেশনায় জনাব বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড।
রেসপন্ডেন্ট নং ৩-৪ এর পক্ষে:
কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
শুনানি ও রায়ের তারিখ: ১০ই মার্চ, ২০২২
রায়
এম. ইনায়েতুর রহিম, জে:
১. হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ কর্তৃক Criminal Revision No.2330 of 2021 এ ০৫.১২.২০২১ তারিখে প্রদত্ত আদেশের মাধ্যমে একই বেঞ্চের ২২.১১.২০২১ তারিখের আদেশ প্রত্যাহার ও বাতিল করায় সংক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট হয়ে ভিকটিম-পিটিশনারগণ এই লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন।
২. জনাব আল আমিন হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার, অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট (ফিনান্সিয়াল ক্রাইম), বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি, ঢাকা-এর মাধ্যমে বর্তমান অভিযুক্ত রেসপন্ডেন্ট নং ১ ও ২ এবং অপর একজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)/ ৪(৩) ধারার অধীনে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে খিলক্ষেত থানা মামলা নং ৩৯, তারিখ ২৮.০২.২০২১, যা জি.আর. মামলা নং ৭৯/২০২১ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, দায়ের করা হয়েছে।
৩. এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে, অভিযুক্ত রেসপন্ডেন্ট Arif Motahar, Kabir Reza এবং অপর একজন ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী অনাবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় "Dhaka Regency Hotel and Resort Ltd." নামক হোটেল নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ সংগ্রহ করা। সেই বিজ্ঞাপনগুলিতে বলা হয়েছিল যে, ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫২% শেয়ার ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৪৮% শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীরা প্রতি ব্লক শেয়ার ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড) স্টার্লিং সমপরিমাণ ২৯,০০,০০০ (ঊনত্রিশ লক্ষ) টাকা (২০০৫ সালের তৎকালীন বিনিময় হার অনুযায়ী) দিয়ে ক্রয় করতে পারবেন। অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে এবং প্রতারণামূলকভাবে কোম্পানির মোট শেয়ার মূলধনকে ৩৩৭ ব্লকে ভাগ করে, প্রতিটি ব্লকের মূল্য ২৫০০০ পাউন্ড স্টার্লিং সমপরিমাণ ২৯,০০,০০০ টাকা নির্ধারণ করে। অভিযুক্তরা দাবি করে যে, তারা সেই সময়ে ইতিমধ্যে ১৭৭টি ব্লকে বিনিয়োগ করেছে এবং অবশিষ্ট ১৬০টি ব্লকের জন্য বিনিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনগুলিতে আরও বলা হয়েছিল যে, যারা ২৫০০০ পাউন্ড স্টার্লিং মূল্যের একটি ব্লক শেয়ার কিনবেন তাদের পরিচালক করা হবে, এবং যারা চারটি ব্লক কিনবেন তাদের সিনিয়র পরিচালক করা হবে, পাশাপাশি তারা অন্যান্য সুবিধাও পাবেন। পরবর্তীতে, বিজ্ঞাপনে বর্ণিত বিভিন্ন সুবিধার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ১১৯ জন অনাবাসী বাংলাদেশি ২০০৫ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ অভিযুক্তদের নামে থাকা ব্যক্তিগত/কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উক্ত হোটেল নির্মাণে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। তবে, যখন উক্ত হোটেল চালু হয়, তখন বিনিয়োগকারীরা দেখতে পান যে, চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর পরিশোধিত ২৯ লক্ষ টাকার বিপরীতে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে মাত্র ১,৭৪,০০০ টি শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যার প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা, যার মোট মূল্য দাঁড়ায় ১৭,৪০,০০০ টাকা। প্রতিটি ব্লকের অবশিষ্ট ১১,৬০,০০০ টাকার শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ না দিয়ে অভিযুক্তরা যোগসাজশে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে। এইভাবে, অভিযুক্তরা ১৮,০০,৯৭,৪২৫ (আঠারো কোটি সাতানব্বই হাজার চারশত পঁচিশ) টাকা অপরাধমূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে। ২০০৫ সালে অভিযুক্তরা রাজউক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাথে জমি এবং ভবনের ৭ম থেকে ১৫তম তলা কেনার জন্য একটি বায়না চুক্তি সম্পাদন করে, উক্ত হোটেল নির্মাণের জন্য মোট প্রকল্প ব্যয় ছিল ৪২.৬ কোটি টাকা, যেখানে অভিযুক্তরা বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়েছিল যে প্রকল্পের মোট ব্যয় ১১২.৫ কোটি টাকা। অভিযুক্তরা উক্ত বিজ্ঞাপনগুলিতে মিথ্যা দাবিও করেছিল যে তারা ইতিমধ্যে প্রকল্পের মোট শেয়ার মূল্যের ৫২% এর সমপরিমাণ ৫৮.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং অবশিষ্ট ৪৮% শেয়ার বিক্রি করতে চায়। দেখা যায় যে, রাজউক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাথে চুক্তির অধীনে মোট চুক্তি অর্থের মধ্যে মাত্র ৬ কোটি টাকা অভিযুক্তরা পরিশোধ করেছিল এবং চুক্তির অবশিষ্ট অর্থ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা একে অপরের সাথে যোগসাজশে ১৮,০০,৯৭,৪২৫ (আঠারো কোটি সাতানব্বই হাজার চারশত পঁচিশ) টাকা আত্মসাৎ করে এবং এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটন করে।
৪. তদন্তকারী কর্মকর্তা ০৪.০৩.২০২১ তারিখে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের নিকট একটি আবেদন করেন যাতে বর্তমান মামলায় অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যারা পূর্বে খিলক্ষেত থানার মামলা নং ০৮(১২) ২০২০ এর সাথে সম্পর্কিত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং বিজ্ঞ মহানগর হাকিম তার ০৮.০৩.২০২১ তারিখের আদেশের মাধ্যমে উক্ত আবেদন মঞ্জুর করেন এবং এর ফলে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১৮.০৩.২০২১ তারিখে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টরা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের নিকট জামিনের আবেদন করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহানগর হাকিম একই দিনের আদেশে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
৫. অভিযুক্ত রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুরের উক্ত আদেশে সংক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট হয়ে, বর্তমান ভিকটিম-পিটিশনারগণ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এর নিকট উক্ত অভিযুক্তদের জামিন বাতিলের জন্য একটি আবেদন দায়ের করেন, যা Miscellaneous Case No.6012 of 2021 হিসেবে নথিভুক্ত হয়। বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ, ঢাকা উক্ত বিবিধ মামলাটি শুনানির পর তার ২৬.০৯.২০২১ তারিখের আদেশের মাধ্যমে তা খারিজ করেন এবং ঢাকার মহানগর হাকিম কর্তৃক প্রদত্ত জামিনের আদেশ বহাল রাখেন।
৬. পরবর্তীতে, বর্তমান ভিকটিম-পিটিশনারগণ Criminal Law Amendment Act, 1958 এর ১০(এ) ধারার অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে একটি আবেদন করেন, যা Criminal Revision No.2330 of 2021 হিসেবে নথিভুক্ত হয়। হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২২.১১.২০২১ তারিখে একটি রুল জারি করেন এবং মহানগর দায়রা জজ কর্তৃক ২৬.০৯.২০২১ তারিখে প্রদত্ত আদেশের কার্যকারিতা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেন এবং অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের আদেশ প্রাপ্তির ০২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের নিকট আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
৭. হাইকোর্ট বিভাগ অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুরকারী সংশ্লিষ্ট মহানগর হাকিমকে এই মর্মে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন যে, তিনি কোন কর্তৃত্ববলে এবং আইনের কোন বিধানের অধীনে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
৮. অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টগণ উক্ত আদেশ সম্পর্কে অবগত হয়ে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উক্ত আদেশ প্রত্যাহার ও বাতিলের জন্য একটি আবেদন দায়ের করেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানি শেষে, হাইকোর্ট বিভাগ বিতর্কিত ০৫.১২.২০২১ তারিখের আদেশের মাধ্যমে ২২.১১.২০২১ তারিখের আদেশ প্রত্যাহার ও বাতিল করেন।
৯. ফলে, ভিকটিম-পিটিশনারগণ এই ফৌজদারি লিভ টু আপিল পিটিশনটি এই বিভাগে দায়ের করেছেন।
১০. পিটিশনারগণের পক্ষে উপস্থিত বিজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট জনাব মুরাদ রেজা এবং জনাব মোঃ খুরশীদ আলম খান যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে দায়েরকৃত মামলায় একজন হাকিমের কোনো অভিযুক্তের জামিন আবেদন বিবেচনার এখতিয়ার নেই, কারণ উক্ত ২০১২ সালের আইনের অধীনে কোনো অপরাধ আমলে নেওয়ার এখতিয়ার তার নেই এবং এভাবে মহানগর হাকিম বিশেষ জজের এখতিয়ার গ্রহণ করে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুর করে অবৈধ কাজ করেছেন।
১১. আরও যুক্তি দেওয়া হয় যে, একটি ফৌজদারি মামলায় একবার কোনো বিষয় মেরিটের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হওয়ার পর এবং ক্ষেত্রমত রায় বা আদেশ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, শুধুমাত্র করণিক ভুল সংশোধন ব্যতীত তা প্রত্যাহার, পরিবর্তন বা পর্যালোচনা করা যায় না। আদালত তার রায় বা আদেশ স্বাক্ষর ও ঘোষণার পর ফাংক্টাস অফিসিও (functus officio) হয়ে যান এবং এরপর কোনোভাবেই উক্ত রায় বা আদেশ সংযোজন বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা তার থাকে না। এই ধরনের কোনো পরিবর্তন বা সংযোজন করা হলে তা এখতিয়ারবিহীন এবং বাতিল বলে গণ্য হবে। হাইকোর্ট বিভাগ বিতর্কিত আদেশ প্রদানকালে উক্ত আইনি দিকটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা এই বিভাগের হস্তক্ষেপযোগ্য।
১২. পিটিশনারগণের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ আরও যুক্তি দেন যে, যেই মুহূর্তে হাইকোর্ট বিভাগ বিজ্ঞ হাকিম কর্তৃক অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের মঞ্জুরকৃত জামিনের আদেশ স্থগিত করেছেন, সেই মুহূর্তে তারা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক হয়ে গেছেন এবং পলাতকদের কোনো আবেদন দাখিলের লোকাস স্ট্যান্ডি (locus standi) নেই এবং আদালতের প্রক্রিয়া অমান্য করে কোনো বিচারিক আদেশ পাওয়ার অধিকারী নন। ন্যায়বিচার প্রশাসনের জন্য এটি একটি অপরিহার্য শর্ত যে, পলাতককে তার অভিযোগের প্রতিকার চাওয়ার পূর্বে আইনের আদালতের সামনে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং সেহেতু পূর্বের আদেশ প্রত্যাহার ও বাতিলের আবেদনটি রক্ষণীয় নয়। হাইকোর্ট বিভাগ বিতর্কিত আদেশ প্রদানকালে এই গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয়টিও উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
১৩. অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের পক্ষে উপস্থিত বিজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট জনাব রোকনউদ্দিন মাহমুদ যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, হাইকোর্ট বিভাগ তার ২২.১১.২০২১ তারিখের আদেশের মাধ্যমে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের উক্ত আদেশ প্রাপ্তির ০২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের নিকট আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং রেসপন্ডেন্টরা উক্ত সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই ২২.১১.২০২১ তারিখের আদেশ প্রত্যাহার ও বাতিলের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন দাখিল করেন এবং সেহেতু বলা যায় না যে রেসপন্ডেন্টরা পলাতক ছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ বিতর্কিত আদেশ প্রদানকালে সঠিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, রেসপন্ডেন্টরা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই প্রত্যাহার ও বাতিলের আবেদন নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন, যা নির্দেশ করে যে রেসপন্ডেন্টরা তখনও পর্যন্ত ন্যায়বিচারের দৃষ্টিতে পলাতক নন।
১৪. জনাব মাহমুদ আরও যুক্তি দেন যে, বিজ্ঞ হাকিম বর্তমান মামলার অভিযোগ এবং ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার এখতিয়ারের মধ্যে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুর করে কোনো অবৈধ কাজ করেননি।
১৫. আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের বিজ্ঞ আইনজীবীগণের বক্তব্য বিবেচনা করেছি, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশসমূহ, যার মধ্যে বিতর্কিত আদেশটিও অন্তর্ভুক্ত, এবং রেকর্ডে উপলব্ধ অন্যান্য উপকরণসহ আইনের প্রাসঙ্গিক বিধানসমূহ পর্যালোচনা করেছি।
১৬. এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যে, বর্তমান মামলাটি বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি-র অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট (ফিনান্সিয়াল ক্রাইম) এর একজন কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানায় দায়ের করেছেন, যা পুলিশ মামলা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে এবং জি.আর. নং ৭৯/২০২১ এর উদ্ভব ঘটিয়েছে। বিজ্ঞ মহানগর হাকিম তার ১৮.০৩.২০২১ তারিখের আদেশে অভিযুক্ত-রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার বর্তমান পিটিশনার, দুইজন ভুক্তভোগী, উক্ত জামিন মঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজের নিকট Miscellaneous Case No. 6012 of 2021 দায়ের করেন।
১৭. ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণ উক্ত বিবিধ মামলায় ব্যর্থ হয়ে Criminal Law Amendment Act, 1958 (অতঃপর Act of 1958 হিসাবে উল্লিখিত) এর section 10(1A) এর অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে একটি আবেদন দাখিল করেন, যা Criminal Revision No.2330 of 2021 এর উদ্ভব ঘটায়।
১৮. Act of 1958 এর Section 10 এবং 10(1A) নিম্নরূপ;
১০. আপিল, রিভিশন এবং মামলা স্থানান্তর –
¹[(১) একজন স্পেশাল জজের রায় থেকে আপিল দায়ের করা যাবে –
(ক) হাইকোর্ট বিভাগে, যদি স্পেশাল জজ একজন দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ বা সহকারী দায়রা জজ হন বা ছিলেন;
²[(খ) * * * * * *]
(১ক) যে আদালতে উপ-ধারা (১) এর অধীনে আপিল দায়ের করা যায়, সেই আদালতের রিভিশনের ক্ষমতাও থাকবে।]
(আন্ডারলাইন সরবরাহকৃত)
১৯. বর্তমান মামলায় ভুক্তভোগী পিটিশনারগণ ঢাকার বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ কর্তৃক একটি বিবিধ মামলায় প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে Act of 1958 এর section 10(1A) এর অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে একটি আবেদন দাখিল করেছেন।
২০. Act of 1958 এর Section 2(c) তে ‘স্পেশাল জজ’ কে নিম্নরূপ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:
“‘স্পেশাল জজ’ অর্থ section 3 এর sub-section (1) এর অধীনে নিযুক্ত একজন স্পেশাল জজ।”
২১. Act of 1958 এর section 3 এর Sub-section (1) এ বলা হয়েছে যে- ‘সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তফসিলে উল্লিখিত অপরাধসমূহের বিচার ও শাস্তি প্রদানের জন্য যতজন প্রয়োজন ততজন স্পেশাল জজ নিয়োগ করবে।’
২২. Act of 1958 এর section 4 এ, একজন স্পেশাল জজের এখতিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে যা নিম্নরূপ:
“৪. স্পেশাল জজদের এখতিয়ার এবং তাদের কর্তৃক মামলা আমলে নেওয়া।- (১) একজন স্পেশাল জজের এখতিয়ার সেই ভৌগোলিক সীমার মধ্যে থাকবে যা সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করবে এবং তিনি উক্ত সীমার মধ্যে সংঘটিত বা সংঘটিত বলে গণ্য হওয়া এবং এই আইনের অধীনে বিচারযোগ্য যেকোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবেন, যখন তিনি এমন তথ্যের অভিযোগ প্রাপ্ত হন যা উক্ত অপরাধ গঠন করে অথবা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা দাখিলকৃত এমন তথ্যের লিখিত রিপোর্টের ভিত্তিতে।
(২) যেখানে দুই বা ততোধিক স্পেশাল জজের সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে একই ভৌগোলিক সীমার মধ্যে এখতিয়ার থাকে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা তাদের একজনকে সেই এলাকার জন্য সিনিয়র স্পেশাল জজ হিসাবে ঘোষণা করবে [এবং উপ-ধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত সিনিয়র স্পেশাল জজের সেই এলাকার মধ্যে সংঘটিত বা সংঘটিত বলে গণ্য হওয়া এই আইনের অধীনে বিচারযোগ্য সকল অপরাধ আমলে নেওয়ার একচ্ছত্র এখতিয়ার থাকবে।]
(৩) একটি অপরাধ সেই স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচারিত হবে যার ভৌগোলিক এখতিয়ারের সীমার মধ্যে এটি সংঘটিত হয়েছে বা সংঘটিত বলে গণ্য হয়েছে, অথবা যেখানে একই ভৌগোলিক সীমার মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন একাধিক স্পেশাল জজ থাকেন, সেখানে সিনিয়র স্পেশাল জজ কর্তৃক [মামলাটি যে স্পেশাল জজের নিকট স্থানান্তরিত করা হয়েছে তার দ্বারা]:
তবে শর্ত থাকে যে, সিনিয়র স্পেশাল জজ, লিখিত আদেশ দ্বারা, বিচারের যেকোনো পর্যায়ে, একটি মামলা একজন স্পেশাল জজের আদালত থেকে একই ভৌগোলিক সীমার মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন অন্য একজন স্পেশাল জজের আদালতে স্থানান্তর করতে পারবেন।
(৪) যখন এই আইনের অধীনে বিচারযোগ্য কোনো অপরাধ বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত হয়, তখন এই আইনের উদ্দেশ্যে, এটি সেই স্পেশাল জজের এখতিয়ারের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে সংঘটিত হয়েছে বলে গণ্য হবে যেখানে [অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে] পাওয়া যায় অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পূর্বে তিনি সাধারণত বসবাস করতেন।”
২৩. Act of 1958 এর section 4(1) এর বিধানের প্রেক্ষিতে এটি সুস্পষ্ট যে, একজন সিনিয়র স্পেশাল জজ বা ক্ষেত্রমত স্পেশাল জজ, উক্ত আইনের অধীনে তার এখতিয়ার গ্রহণ করবেন এমন তথ্যের অভিযোগ প্রাপ্তির পর যা উক্ত অপরাধ গঠন করে অথবা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা দাখিলকৃত এমন তথ্যের লিখিত রিপোর্টের ভিত্তিতে।
২৪. বর্তমান মামলায়, স্বীকৃতভাবে, মামলাটি তদন্তাধীন অর্থাৎ প্রাক-বিচার পর্যায়ে এবং ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের নিকট বিচারাধীন। সংশ্লিষ্ট মহানগর হাকিম তদন্ত চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন, যার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণ ঢাকার মহানগর দায়রা জজের নিকট একটি আবেদন করেছিলেন, ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের নিকট নয়। বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ বিষয়টি দায়রা জজ হিসেবে বিবিধ মামলা হিসাবে নিষ্পত্তি করেছেন।
২৫. Code of Criminal Procedure এর section 7 এর বিধান অনুযায়ী সরকার প্রত্যেক দায়রা বিভাগের জন্য, বিশেষ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য, দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে Act of 1958 এর বিধানের অধীনে স্পেশাল জজ এবং স্পেশাল কোর্ট স্থাপিত হয়েছে। একজন দায়রা জজ Code of Criminal Procedure এর বিধান অনুযায়ী কাজ করেন, যেখানে স্পেশাল জজ Act of 1958 এর বিধান অনুযায়ী কাজ করেন। সুতরাং, একজন দায়রা জজ এবং একজন স্পেশাল জজের এখতিয়ার ও কার্যকারিতা সম্পূর্ণ পৃথক এবং একজন অন্যজনের এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে না, যদিও কখনও কখনও বিচারক একই ব্যক্তি হতে পারেন।
২৬. বর্তমান মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ অভিযুক্ত রেসপন্ডেন্টদের জামিন বাতিলের বিবিধ মামলাটি দায়রা জজ হিসেবে দায়রা আদালতের এখতিয়ার গ্রহণ করে নিষ্পত্তি করেছেন, যদিও মামলাটি Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর অধীনে যা প্রাক-বিচার পর্যায়ে রয়েছে।
২৭. আদালত ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণের বিজ্ঞ আইনজীবীগণকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তারা কোন আইনের বিধানের অধীনে একজন হাকিম কর্তৃক অভিযুক্ত রেসপন্ডেন্টদের জামিন মঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজের নিকট বিবিধ মামলা দায়ের করেছিলেন, যা একটি রিভিশনযোগ্য আদেশ। ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ উত্তর দিয়েছিলেন যে, নিম্ন আদালতের রীতি অনুযায়ী জামিন বাতিলের আবেদন বিবিধ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়ে থাকে।
২৮. আমরা ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণের বিজ্ঞ আইনজীবীগণের উপরোক্ত বক্তব্যকে সমর্থন বা অনুমোদন করতে অপারগ।
২৯. Code of Criminal Procedure এর Section 435 নিম্নরূপ:
“৪৩৫(১) হাইকোর্ট বিভাগ বা যেকোনো দায়রা জজ [[***] কোনো নিম্ন ফৌজদারি আদালতের নথিপত্র তলব ও পরীক্ষা করার ক্ষমতা রাখেন, যা তার বা তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে অবস্থিত, কোনো সিদ্ধান্ত, দণ্ড বা আদেশের সঠিকতা, বৈধতা বা যৌক্তিকতা সম্পর্কে এবং উক্ত নিম্ন আদালতের যেকোনো কার্যক্রমের নিয়মিততা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হওয়ার উদ্দেশ্যে এবং যখন উক্ত নথি তলব করা হয়, তখন নির্দেশ দিতে পারেন যে কোনো দণ্ডের কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখা হোক এবং, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে থাকে, তবে তাকে জামিনে বা তার নিজের মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হোক নথিপত্র পরীক্ষার জন্য অপেক্ষাকালীন সময়ে।
ব্যাখ্যা- সকল ম্যাজিস্ট্রেট, [নির্বাহী বা বিচারিক যাই হোক না কেন], এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যে দায়রা জজের অধীন বলে গণ্য হবেন।”
৩০. Code of Criminal Procedure এ উল্লিখিত উপরোক্ত সুনির্দিষ্ট বিধানের আলোকে, যদি কোনো ব্যক্তি একজন হাকিম কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ, যার মধ্যে কোনো অভিযুক্তকে জামিন মঞ্জুর করার আদেশও অন্তর্ভুক্ত, দ্বারা সংক্ষুব্ধ হন, তবে তার উচিত হবে দায়রা আদালতে একটি রিভিশনাল আবেদন দাখিল করা, যদি তিনি সেরূপ পরামর্শপ্রাপ্ত বা ইচ্ছুক হন, কারণ আদেশটি রিভিশনযোগ্য।
৩১. আমরা দ্বিধাহীনভাবে মনে করি যে, একটি সুনির্দিষ্ট বিধিবদ্ধ বিধান তথাকথিত প্রচলিত রীতি দ্বারা বাতিল হতে পারে না। যখন কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর জন্য আইনের সুনির্দিষ্ট বিধান থাকে, সেক্ষেত্রে কোনো অনুমোদিত রীতিকে সমর্থন বা অনুমোদন করা যায় না।
৩২. ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ যুক্তি দিয়েছেন যে, Money Laundering Protirodh Ain এর অধীনে দায়েরকৃত মামলায়, হাকিমের জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করার এবং কোনো অভিযুক্তকে জামিন মঞ্জুর করার কোনো এখতিয়ার নেই এবং উক্ত আইনের section 13 অনুযায়ী শুধুমাত্র স্পেশাল জজই জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
৩৩. আমরা উপরোক্ত আইনি বিষয়টি আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করছি কারণ বিভিন্ন বিশেষ আইনের অধীনে প্রাক-বিচার পর্যায়ে জামিন মঞ্জুরের প্রশ্নে হাইকোর্ট বিভাগের বিভিন্ন বেঞ্চ ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।
৩৪. Money Laundering Protirodh Ain, 2012 [section 2(ঢ) এবং তফসিল] এর অধীনে দুর্নীতি দমন কমিশন (অতঃপর কমিশন হিসাবে উল্লিখিত) এর পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং সরকারের অন্যান্য সংস্থা/সংগঠন বা একাধিক সংস্থা যৌথভাবে মামলা তদন্ত করার জন্য অনুমোদিত ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
৩৫. তবে, Anti-Corruption Commission Act, 2004 এর তফসিল (ঘ) এবং Money Laundering Protirodh Bidhimala, 2019 (অতঃপর Bidhimala, 2019 হিসাবে উল্লিখিত) এর তফসিল ০১ অনুযায়ী, কমিশন শুধুমাত্র Money Laundering Protirodh Ain এর অধীন ঐ সকল মামলা তদন্ত করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত যা ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত। Money Laundering Protirodh Ain এর অধীনে অন্যান্য সম্পৃক্ত অপরাধসমূহ সিআইডি বা উক্ত Bidhimala, 2019 এর তফসিলে নির্ধারিত অন্য কোনো সংস্থা(সমূহ) দ্বারা তদন্ত করতে হবে।
৩৬. Anti-Corruption Act, 2004, Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এবং Bidhimala, 2019 পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, কমিশনের তদন্ত প্রক্রিয়া অন্যান্য সংস্থা থেকে কিছুটা ভিন্ন।
৩৭. Money Laundering Protirodh Ain এর অধীনে মামলা তদন্তের জন্য, কমিশন তার নিজস্ব বিধি অর্থাৎ Anti Corruption Rules 2007 এর rule 10 দ্বারা আবদ্ধ, যা নিম্নরূপ:
"১০। অপরাধের তদন্তকার্যক্রম গ্রহণ, সম্পন্ন ও প্রতিবেদন দাখিল।-(১) এই বিধির অধীন-
(ক) কমিশনের প্রত্যেক জেলা কার্যালয় প্রত্যেক সিনিয়র স্পেশাল জজের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা ভিত্তিক একটি করিয়া তফসিলের ফরম-২ক অনুযায়ী তদন্ত রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করিবে;
(খ) কমিশনের নির্দেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপরাধ সংঘটনের স্থানীয় অধিক্ষেত্রসম্পন্ন সিনিয়র স্পেশাল জজের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ সংঘটনের তথ্য সম্বলিত এজাহার দাখিল করিবেন।
(গ) সংশ্লিষ্ট জেলা কার্যালয় সংশ্লিষ্ট সিনিয়র স্পেশাল জজের এলাকার জন্য নির্ধারিত তদন্ত রেজিস্ট্রারে এজাহারে বর্ণিত তথ্যাদি অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং তদন্ত কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কপি সংরক্ষণ করিয়া তফসিলের ফরম-২খ সহ মূল এজাহারটি সংশ্লিষ্ট সিনিয়র স্পেশাল জজের নিকট প্রেরণ করিবে;
(ঘ) সংশ্লিষ্ট সিনিয়র স্পেশাল জজ তদন্তের স্বার্থে কোন আদেশ প্রদানের প্রয়োজন এবং তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তিসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উক্ত এজাহার সংরক্ষণ করিবেন:
(ঙ) বিধি ১৩ এর উপ বিধি (৩) এর অধীন সিনিয়র স্পেশাল জজ কর্তৃক প্রেরিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনের জেলা কার্যালয় প্রাপ্ত হইলে এই উপ-বিধির দফা (খ) এ বর্ণিত মতে ব্যবস্থাদি গ্রহণ করিবে।
(চ) কমিশন যে কোন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আইনের তফসিলভুক্ত কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিবার মত যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে সরাসরি এজাহার দায়েরের জন্য উহার সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।" (নিম্নরেখা সরবরাহকৃত)
৩৮. আইনের উপরোক্ত বিধান থেকে এটি স্পষ্ট যে, কমিশন একটি এফআইআর দায়ের করার পর তা সেই সিনিয়র স্পেশাল জজের নিকট প্রেরণ করবে যার এখতিয়ারের অধীনে কথিত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ উক্ত এফআইআর প্রাপ্তির পর তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেবেন, এবং তার নিকট দাখিলকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে, যদি তিনি সন্তুষ্ট হন, কমিশনের কোনো কর্মকর্তাকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ারও তার রয়েছে, এবং তদন্ত প্রতিবেদনের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন অর্থাৎ প্রাক-বিচার পর্যায়ে মামলা আমলে নেওয়ার পূর্বে সিনিয়র স্পেশাল জজের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার রয়েছে।
৩৯. অন্যদিকে, Bidhimala, 2019 এর বিধি ৫১ এর উপ-বিধি ৭ অনুযায়ী অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা(সমূহ) এর ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা Code of Criminal Procedure এর বিধানাবলী অনুসরণ করবেন। উপরোক্ত Bidhimala, 2019 এর বিধি ৫১ এর উপ-বিধি ৭ নিম্নরূপ:
"৫১। তদন্ত।-(১) তদন্তকারী সংস্থা অনুসন্ধানান্তে নিজস্ব সংস্থার একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করিবে, তবে শর্ত থাকে যে, কোনো তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হইলে এবং পরবর্তীতে যৌথ তদন্ত দল গঠন করার প্রয়োজন অনুভূত হইলে, বিএফআইইউকে তাহা লিখিতভাবে অনুরোধ করিবে।
(২)....
(৩)...
(৪)...
(৫)..
(৬).
(৭) এই বিধিমালার অধীন কোনো অভিযোগের তদন্তকার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে তদন্ত কার্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দৈনিক ভিত্তিতে তাহার তদন্তকার্যের অগ্রগতি সম্পর্কে The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.V of 1898) অনুযায়ী তদন্তের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কেস ডায়েরি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করিবেন।" (নিম্নরেখা সরবরাহকৃত)
৪০. একই আইনের অর্থাৎ Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর অধীনে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা দুটি ভিন্ন তদন্ত পদ্ধতির কারণে কখনও কখনও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়, যার সমাধান প্রয়োজন।
৪১. Act of 1958 এর বিধানের অধীনে নিযুক্ত স্পেশাল জজের, কমিশন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা ব্যতীত অন্য কোনো তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক Money Laundering Protirodh Ain এর অধীনে দায়েরকৃত মামলা আমলে নেওয়ার পূর্বে তা নিষ্পত্তি করার কোনো এখতিয়ার নেই।
৪২. মূল প্রশ্ন হলো, কমিশন ব্যতীত অন্য কোনো সংস্থা কর্তৃক Money Laundering Protirodh Ain এর অধীনে কোনো মামলার তদন্ত চলাকালে অর্থাৎ স্পেশাল জজ কর্তৃক মামলা আমলে নেওয়ার পূর্বে প্রাক-বিচার পর্যায়ে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কি সংশ্লিষ্ট হাকিমের নিকট, যেখানে মামলার রেকর্ড থাকে এবং যিনি রিমান্ডের আদেশসহ তদন্তের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করে থাকেন, জামিনের জন্য বা অন্য কোনো প্রতিকারের জন্য আবেদন করতে অধিকারী?
৪৩. আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছি যে, Bidhimala, 2019 এর বিধি ৫১ এর উপ-বিধি ৭ কমিশন ব্যতীত অন্যান্য সংস্থা/সংগঠন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার তদন্তকালীন সময়ে Code of Criminal Procedure প্রযোজ্য করেছে।
৪৪. সুতরাং, Code of Criminal Procedure এর section 173 এর বিধান অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করার পূর্বে এবং Act of 1958 এর অধীনে নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক অপরাধ আমলে নেওয়ার পূর্বে অর্থাৎ প্রাক-বিচার পর্যায়ে একজন অভিযুক্তের সংশ্লিষ্ট হাকিমের নিকট, যেখানে মামলাটি বিচারাধীন এবং রেকর্ড বিদ্যমান, জামিনের আবেদনসহ সকল প্রকার আবেদন করার অধিকার রয়েছে। এবং Code of Criminal Procedure এর section 497 এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট হাকিমের আইন অনুসারে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার রয়েছে।
৪৫. যুক্তির খাতিরে, যদি দেখা যায় যে, প্রাক-বিচার পর্যায়ে Money Laundering Protirodh Ain বা অন্য কোনো বিশেষ আইনের অধীনে কোনো মামলায় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির ক্ষমতা ও এখতিয়ার হাকিমের নেই, তাহলে সেই পর্যায়ে হাকিম কীভাবে Code of Criminal Procedure এর section 167 এর অধীনে কোনো অভিযুক্তের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দিতে পারেন এবং তদন্তের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করতে পারেন? প্রাক-বিচার পর্যায়ে অর্থাৎ স্পেশাল জজ বা ক্ষেত্রমত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মামলা আমলে নেওয়ার পূর্বে একজন অভিযুক্ত প্রতিকারহীন থাকতে পারে না।
৪৬. অন্য কোনো বিশেষ আইন বা বিধিতে কোনো প্রকাশ্য বা উহ্য নিষেধাজ্ঞা না থাকলে, সংশ্লিষ্ট হাকিম Code of Criminal Procedure এর section 497 এর অধীনে কোনো অভিযুক্তের জামিনের আবেদন গ্রহণ, বিবেচনা ও নিষ্পত্তি করতে পারেন। তার জামিনের আবেদন নাকচ হলে তিনি section 498 এর অধীনে Criminal Miscellaneous Case দায়ের করে দায়রা আদালতে যেতে পারেন এবং পরবর্তীতে দায়রা আদালতে ব্যর্থ হলে, তিনি উক্ত Code এর section 498 এর অধীনে জামিনের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করতে পারেন।
৪৭. এখানে উল্লেখ্য যে, কোনো অভিযুক্তকে জামিন মঞ্জুর করা বা না করা সংশ্লিষ্ট হাকিম বা জজের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা। তবে, এই ক্ষমতাটি বিচক্ষণতার সাথে প্রয়োগ করতে হবে, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং সেই নির্দিষ্ট আইনে, যদি থাকে, জামিন মঞ্জুরের বিধানাবলী মনে রেখে।
৪৮. Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর section 13 জামিন মঞ্জুরের বিধানাবলী সন্নিবেশিত করেছে, যা নিম্নরূপ:
"১৩। জামিন সংক্রান্ত বিধান। এই আইনের অধীন অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাইবে, যদি-
(ক) তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া হয়। এবং
(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্থ হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট না হন। অথবা
(গ) তিনি নারী, শিশু বা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হন।"
৪৯. উপরোক্ত বিধান বলে যে, 'আদালত' Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর অধীনে কোনো অভিযুক্তের জামিনের আবেদন বিবেচনার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ।
Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর section ২ (জ) অনুযায়ী 'আদালত' অর্থ 'স্পেশাল জজ এর আদালত'।
৫০. আমরা ইতোমধ্যে পর্যবেক্ষণ করেছি যে, Act of 1958 এর section 4(1) এর বিধান অনুযায়ী স্পেশাল জজ তার এখতিয়ার গ্রহণ করবেন এমন তথ্যের অভিযোগ প্রাপ্তির পর যা উক্ত অপরাধ গঠন করে অথবা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা দাখিলকৃত এমন তথ্যের লিখিত রিপোর্টের ভিত্তিতে। Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর অধীনে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ আমলে নেওয়ার পর, যদি কোনো অভিযুক্ত জামিনের জন্য আবেদন দাখিল করেন, তবে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র স্পেশাল জজ/স্পেশাল জজ Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর section 13 এর বিধান অনুযায়ী তা শুনানি ও নিষ্পত্তি করবেন। তবে, পূর্বে উল্লিখিত ও আলোচিত তদন্তের ভিন্ন পদ্ধতির কারণে, যে মামলাগুলো কমিশন কর্তৃক দায়ের করা হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে হাকিম আদালতসমূহের কোনোভাবেই তা নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার নেই, বরং Anti-Corruption Rules, 2007 এর rule 10 অনুযায়ী স্পেশাল জজের মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে জামিনের বিষয়সহ মামলাটি নিষ্পত্তি করার সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে।
৫১. উপরে আলোচিত বিষয়াবলীর আলোকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছি যে, কমিশন ব্যতীত অন্য সংস্থা(সমূহ)/সংগঠন(সমূহ) কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাসমূহে স্পেশাল জজ কর্তৃক মামলা আমলে নেওয়ার পূর্বে প্রাক-বিচার পর্যায়ে, সংশ্লিষ্ট হাকিম Money Laundering Protirodh Ain, 2012 এর অধীনে কোনো অভিযুক্তের জামিনের আবেদন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ক্ষমতাহীন নন।
৫২. তবে, Money Laundering Protirodh Ain এর অধীনে কোনো অভিযুক্তকে জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট হাকিম বা ক্ষেত্রমত স্পেশাল জজ উক্ত আইনের section 13 এ নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবেন।
৫৩. উপরে আলোচিত আইনের প্রাসঙ্গিক বিধানাবলী এবং বর্তমান মামলার ঘটনা ও পরিস্থিতি মনে রেখে, আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য হচ্ছি যে, যেহেতু ২৬.০৯.২০২১ তারিখের আদেশটি ঢাকার বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ একটি বিবিধ মামলায় প্রদান করেছিলেন, Act of 1958 এর অধীনে নিযুক্ত কোনো স্পেশাল জজ কর্তৃক নয়, সেহেতু উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে Act of 1958 এর section 10(1A) এর অধীন আবেদনটি হাইকোর্ট বিভাগের নিকট রক্ষণীয় (amenable) নয়।
৫৪. সুতরাং, ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণ কর্তৃক মহানগর দায়রা জজের প্রদত্ত একটি আদেশের বিরুদ্ধে Act of 1958 এর section 10(1A) এর অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে দাখিলকৃত আবেদনটি সম্পূর্ণরূপে ভ্রান্ত ধারণা প্রসূত (misconceived) এবং হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারির সময় এটি লক্ষ্য করতে এবং এই আইনি দিকটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এর ফলে, ভুলবশত রুল জারি করেছেন এবং বিতর্কিত আদেশসহ বিভিন্ন অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ (ad-interim orders) প্রদান করেছেন।
৫৫. যেহেতু ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণ কর্তৃক দাখিলকৃত Act of 1958 এর section 10(1A) এর অধীন আবেদনটি হাইকোর্ট বিভাগে রক্ষণীয় নয় এবং হাইকোর্ট বিভাগ ভুলভাবে তার এখতিয়ার প্রয়োগ করেছেন, সুতরাং রুল জারির আদেশ এবং উক্ত রুলে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত বিতর্কিত আদেশসহ সকল আদেশ আইনের দৃষ্টিতে অস্তিত্বহীন (nullity) এবং হস্তক্ষেপযোগ্য।
৫৬. তদনুসারে, এই লিভ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করা হলো।
৫৭. Criminal Revision No.2330 of 2021 এ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক জারি করা রুলটি খারিজ করা হলো এবং হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত বিতর্কিত আদেশসহ সকল আদেশ বাতিল করা হলো।
৫৮. তবে, ভুক্তভোগী-পিটিশনারগণ আইন অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হতে বাধাপ্রাপ্ত নন।
Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."