
সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
যদি বিল গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর প্রেরক গ্রহীতাকে প্রতারিত করে, তাহলে যথাসময়ে ধারকের অধিকারের উপর এর কী প্রভাব পড়ে?
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ৫ এবং ৯ ধারা অনুযায়ী, যথাসময়ে বিল অফ এক্সচেঞ্জের একজন যথোপযুক্ত ধারক (holder in due course) বিলটি ভাঙিয়ে টাকা পাওয়ার অধিকারী, এবং বিলটি গ্রহীতা কর্তৃক গ্রহণের পরেও যদি বিলের প্রেরক গ্রহীতাকে প্রতারিত করে, তবুও তাকে অর্থ পরিশোধে বাধা দেওয়া যাবে না।
"এক্সপোর্টার্স ইন্ডিয়া বনাম রূপসী গার্মেন্টস এবং অন্যান্য" (Exporters India vs Rupashi Garments and others.) ১১ বিএলডি (এইচসিডি) ৬৫ মামলায় এমন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে কয়েকটি পয়েন্টে আলোচনা করা হলো:
বিল অফ এক্সচেঞ্জ: বিল অফ এক্সচেঞ্জ হলো একটি লিখিত আদেশ, যেখানে একজন ব্যক্তি (প্রেরক) অন্য একজন ব্যক্তিকে (গ্রহীতা) তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে (প্রাপক) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দেন।
যথোপযুক্ত ধারক: যথোপযুক্ত ধারক হলেন সেই ব্যক্তি যিনি বিলটি সরল বিশ্বাসে, মূল্যের বিনিময়ে এবং বিলটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গ্রহণ করেন। তিনি বিলের কোনো ত্রুটি সম্পর্কে অবগত থাকেন না।
গ্রহীতার স্বীকৃতি: বিল অফ এক্সচেঞ্জ তখনই বৈধ হয় যখন গ্রহীতা এটি গ্রহণ করেন। গ্রহীতা সাধারণত বিলের উপর "accepted" লিখে স্বাক্ষর করে এটি গ্রহণ করেন।
প্রতারণার প্রভাব: যদি বিলটি গ্রহণ করার পর প্রেরক গ্রহীতাকে প্রতারিত করে, তবুও যথোপযুক্ত ধারকের অধিকার ক্ষুন্ন হয় না। গ্রহীতা বিলের ধারককে অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য।
ধারকের সুরক্ষা: এই বিধানের মূল উদ্দেশ্য হলো বিল অফ এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বাণিজ্যিক লেনদেনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। যথোপযুক্ত ধারক যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা আইনের লক্ষ্য।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করা যাক:
ধরা যাক, 'ক' (প্রেরক) 'খ'-কে (গ্রহীতা) একটি বিল অফ এক্সচেঞ্জ লিখে 'গ'-কে (প্রাপক) ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। 'খ' বিলটি গ্রহণ করেন। এরপর 'ক' কোনোভাবে 'খ'-কে প্রতারিত করেন। 'গ' যদি বিলটির যথোপযুক্ত ধারক হন, তাহলে 'খ' 'গ'-কে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন, 'ক'-এর প্রতারণা সত্ত্বেও।
সংক্ষেপে, হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ৫ ও ৯ ধারা অনুযায়ী, বিল অফ এক্সচেঞ্জের একজন যথোপযুক্ত ধারক বিলটি ভাঙিয়ে টাকা পাওয়ার অধিকারী এবং প্রেরকের প্রতারণাতেও তার এই অধিকারে কোনো বাধা দেওয়া যায় না।
মামলার সূত্র: Exporters India vs Rupashi Garments and others. ১১ বিএলডি (এইচসিডি) ৬৫।
Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."