
সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এন.আই.অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার নালিশ পাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট উহা তদন্তের জন্য পুলিশের নিকট প্রেরণ করতে পারেন কিনা বা পুলিশ উহাতে চার্জশিট দাখিল করতে পারে কিনা?
এই বিষয়ে কয়েকটি মামলার আলোকে আলোচনা করা হলো:
১৩৮ ধারার মামলা থানায় দায়ের করা যায় না। চেক ডিজঅনার হলে উহা সি.আর. মামলা হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট নালিশকারীকে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারায় পরীক্ষা করার পর যদি সন্তুষ্ট হন যে নালিশের Prima facie ভিত্তি আছে, তাহলে তিনি উহা আমলে নিয়ে পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। ১৪১ (এ) ধারায় বলা হয়েছে যে, চেকের প্রাপক বা উহার ধারক কেবলমাত্র নালিশী দরখাস্ত দাখিল করতে পারেন এবং অন্য কাউকে ঐ ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তাই ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারা মোতাবেক পুলিশের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেয়া সমীচীন নয়।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কয়েকটি মামলার উদাহরণ দেওয়া হলো:
কে. মহাদেবন বনাম ওয়াই. ভেঙ্কটেশ [(1992) 3 ALT 634] মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট মন্তব্য করেন:
"Clause (a) of section 142 contemplates of falling of a private complaint only. This section does not give any indication to refer such a private complaint filed by the payee or the holder in due course to the police for investigation under section 156(3) of the Code of Criminal Procedure by the Magistrate before whom such a complaint is filed."
অর্থাৎ, ১৪২ ধারার (ক) উপধারা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অভিযোগের কথা উল্লেখ করে। এই ধারা এমন কোনো ইঙ্গিত দেয় না যে প্রাপক বা যথোপযুক্ত ধারক কর্তৃক দায়ের করা কোনো ব্যক্তিগত অভিযোগ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারার অধীনে তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে পাঠানো হবে।
একটি মামলায়, ১৩৮ ধারায় নালিশ পাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট নালিশকারীকে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারা মোতাবেক পরীক্ষা না করে নালিশটি তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করেন। জাগারলেমুদি সুরিয়া প্রসাদ বনাম স্টেট অফ এ.পি. [1992 Cr LJ 597] মামলায় অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ঐ ধরনের আদেশ প্রচার করা সঠিক হয়নি মর্মে অভিমত পোষণ করে রায়ের গর্ভে উল্লেখ করেন:
"Before parting with this case, I would like to point out that the procedure adopted by the Magistrate by referring the private complaint to the police appears to be unnecessary and irregular.... He has no right or power to refer it for investigation to the police just like a private complaint filed in accordance with the provisions of the Criminal Procedure Code."
অর্থাৎ, এই মামলা শেষ করার আগে, আমি উল্লেখ করতে চাই যে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ব্যক্তিগত অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠানোর পদ্ধতি অপ্রয়োজনীয় এবং অনিয়মিত। ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী দায়ের করা ব্যক্তিগত অভিযোগের মতো তিনি এটিকে তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে পাঠানোর কোনো অধিকার বা ক্ষমতা রাখেন না।
আবার, কে. মহাদেবন বনাম ওয়াই. ভেঙ্কটেশ [1993 Cr LJ 2659 (A.P.)] মামলায় একই হাইকোর্ট উক্ত বিষয়ে পুলিশ কর্তৃক চার্জশিট দাখিল করা বৈধ হয়নি মর্মে বর্ণনা করেন। আদালতের ভাষায়:
"Procedure for taking cognizance of an offence punishable under section 138 of the Act by a Metropolitan Magistrate or a Judicial Magistrate, First Class, is on private complaint only. Cognizance on a charge-sheet filed by the police is not proper."
অর্থাৎ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আইনের ১৩৮ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের কনিজ্যান্স নেওয়ার পদ্ধতি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে। পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটের উপর কনিজ্যান্স নেওয়া সঠিক নয়।
চেক ডিজঅনারের মামলার ভিত্তি হলো নালিশ এবং ঐ সূত্র ধরেই ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলায় অগ্রসর হতে হবে। পুলিশের নিকট তদন্তের জন্য তা প্রেরণ করা যাবে না। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওয়াই. ভেঙ্কটেশ্বরা বনাম মহী হ্যান্ডলুমস [1993 Cr LJ 2362 (AP)] মামলায় অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট বর্ণনা করেন:
"It has been made clear in this case that the Magistrate, upon taking cognizance of the offence of dishonour of a cheque, must try the case himself and cannot refer it to the police for investigation. Again cognizance on police report is illegal. A written complaint by the payee or holder in due course of the cheque, as the case may be, would be necessary- Y. Venkateswara v. Mahee Handlooms 1993 Cr LJ 2362 (AP), and such a written complaint must be the basis for taking cognizance. It cannot be referred to police under section 156(3) of the Cr. P. Code for inquiry for investigation."
অর্থাৎ, এই মামলায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, চেক ডিজঅনারের অপরাধের কনিজ্যান্স নেওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই নিজে মামলাটির বিচার করতে হবে এবং তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে পাঠাতে পারবেন না। পুলিশের রিপোর্টের উপর কনিজ্যান্স নেওয়া অবৈধ। চেকের প্রাপক বা যথোপযুক্ত ধারক কর্তৃক লিখিত অভিযোগ, যেমন ক্ষেত্রে হতে পারে, প্রয়োজন হবে এবং এমন লিখিত অভিযোগ কনিজ্যান্স নেওয়ার ভিত্তি হতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারার অধীনে তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে পাঠানো যাবে না।
সংক্ষেপে, এন.আই.অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার অধীনে দায়ের করা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে পাঠাতে পারেন না এবং পুলিশও এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করতে পারে না। এই মামলার কার্যক্রম ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত হবে।
Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."