
সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
যদি প্রাপক (payee) ডিমান্ড নোটিশ জারির আগে মারা যান, তাহলে কী হবে এবং প্রাপকের আইনগত উত্তরাধিকারী ডিমান্ড নোটিশ জারি করতে এবং মামলা পরিচালনা করতে পারবেন কিনা?
আলোচ্য অংশে যদি প্রাপক (payee) ডিমান্ড নোটিশ জারির আগে মারা যান, তাহলে কী হবে এবং প্রাপকের আইনগত উত্তরাধিকারী ডিমান্ড নোটিশ জারি করতে এবং মামলা পরিচালনা করতে পারবেন কিনা, তা আলোচনা করা হয়েছে। "ভাগবা বনাম কদাসিদ্ধেশ্বর ট্রেডিং কোম্পানি" (Bhagava vs. Kadasiddeshwara Trading Company, 2003-TLKAR-0-236= 2004-ILR (KAR)-0-367) মামলার রায়ের ভিত্তিতে এই আলোচনাটি করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যদি প্রাপক মারা যান, তাহলে তার আইনগত উত্তরাধিকারী নোটিশ জারি করতে এবং মামলা পরিচালনা করতে পারবেন। "ভাগবা" মামলার ১২ নং প্যারায় বলা হয়েছে যে, "এই বিষয়ে বাস্তবিক দিক এবং আইনের সুপ্রতিষ্ঠিত নীতি বিবেচনা করে, এই আদালতের মতে, প্রাপকের মৃত্যুর পর, তার আইনগত উত্তরাধিকারী সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে প্রাপকের স্থানে আসেন এবং এই ধরনের ব্যক্তি আইনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর অভিযোগ দায়ের এবং পরিচালনা করতে পারেন। এটিও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অভিযুক্ত যদি তা নিয়ে বিতর্ক করেন তবে অভিযোগকারী যে মৃত প্রাপকের আইনগত প্রতিনিধি তা প্রমাণ করা অভিযোগকারীর উপর বর্তাবে। বর্তমান মামলায়, প্রাপক মারা গিয়েছিলেন এবং প্রাপকের স্ত্রী, আইনগত উত্তরাধিকারী হিসেবে, প্রশ্নবিদ্ধ চেকটি উপস্থাপন করেছিলেন এবং চেক ডিজঅনার হওয়ার পর, আইনি নোটিশও জারি করা হয়েছিল এবং তারপর হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারার অধীনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল।"
বিষয়টি একটি কাল্পনিক পরিস্থিতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যাক:
মনে করুন, জনাব 'ক' জনাব 'খ' এর কাছ থেকে একটি চেক পান। কিন্তু, ডিমান্ড নোটিশ পাঠানোর আগেই 'ক' মারা যান। 'ক' এর স্ত্রী 'গ' তার একমাত্র আইনগত উত্তরাধিকারী।
এই পরিস্থিতিতে, "ভাগবা" মামলার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী:
'গ' 'খ' কে ডিমান্ড নোটিশ পাঠাতে পারবেন।
'খ' যদি দাবি করেন যে 'গ' 'ক' এর আইনগত উত্তরাধিকারী নন, তাহলে 'গ' কে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি প্রকৃতপক্ষে 'ক' এর আইনগত উত্তরাধিকারী।
প্রমাণিত হলে, 'গ' ১৩৮ ধারার অধীনে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন।
সংক্ষেপে, প্রাপক মারা গেলে তার আইনগত উত্তরাধিকারী ডিমান্ড নোটিশ জারি করতে এবং ১৩৮ ধারার অধীনে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন, তবে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি মৃত প্রাপকের আইনগত প্রতিনিধি।
Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."