
সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার
পর আসামী যদি জবাব দিতে ব্যর্থ হন বা নীরব থাকেন, তাহলে তার আইনগত পরিণতি কী?
এ বিষয়ে "গোড়ান্টলা ভেঙ্কটেশ্বরা বনাম কোল্লা ভিরা" [Gorantla Venkteswara v. Kolla Veera [2006 CrLJ 1]] মামলার আলোকে আলোচনা করা হলো:
সাধারণত, নোটিশ পাওয়ার পর নীরবতা সবসময় সম্মতির প্রমাণ দেয় না। যদি কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকে, তাহলে নোটিশের জবাব দেওয়া জরুরি নয়, যদি না আসামী অন্য কিছু মনে করেন। আদালত স্বাভাবিক মানবিক আচরণ উপেক্ষা করতে পারেন না।
"গোড়ান্টলা ভেঙ্কটেশ্বরা" মামলায় আদালত মন্তব্য করেন:
অর্থাৎ, অভিযোগকারীর দেওয়া লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে আসামীর ব্যর্থতা "এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর একটি জোরালো পরিস্থিতি যে আসামী অভিযোগকারীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল"। এই মামলায় আসামী অভিযোগকারীর কাছ থেকে একটি প্রমিসরি নোটের মাধ্যমে টাকা ধার নিয়েছেন বলে বলা হয়েছে এবং সেই ঋণের পরিশোধ হিসেবে তিনি প্রশ্নযুক্ত চেকটি দিয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৩৯ ধারা এই অনুমান তৈরি করে যে চেকটি "সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে, কোনো ঋণ বা অন্য কোনো দায় পরিশোধের জন্য" দেওয়া হয়েছিল। "ঋণ বা অন্য দায়" শব্দগুলির অর্থ 'আইনত কার্যকর ঋণ বা দায়' হিসেবে গণ্য করতে হবে।
বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে কয়েকটি পয়েন্টে আলোচনা করা হলো:
নীরবতা সবসময় সম্মতি নয়: লিগ্যাল নোটিশ পেলে তার জবাব দেওয়া আইনত বাধ্যতামূলক নয়, যদি না অন্য কোনো আইন বা চুক্তিতে এমন বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই, নোটিশের জবাব না দেওয়া মানেই এই নয় যে আসামী অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন।
পরিস্থিতি ও প্রমাণের উপর নির্ভরতা: নোটিশের জবাব না দেওয়া একটি পরিস্থিতিগত প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে, এটি একমাত্র প্রমাণ নয় যার ভিত্তিতে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণ, যেমন - চেক, প্রমিসরি নোট, লেনদেনের নথি ইত্যাদিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
১৩৯ ধারার অনুমান: ১৩৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কেউ কোনো চেক প্রদান করেন, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে তিনি কোনো আইনি দায় পরিশোধের জন্য সেটি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে, নোটিশের জবাব না দেওয়া এই অনুমানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
আইনত কার্যকর দায়: "ঋণ বা অন্য দায়" বলতে শুধুমাত্র আইনত বৈধ দায় বোঝায়। কোনো অবৈধ লেনদেন বা দায়ের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না।
একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করা যাক
ধরা যাক, 'ক' 'খ'-কে একটি চেক দেন। চেকটি ডিজঅনার হওয়ার পর 'ক', 'খ'-কে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। 'খ' যদি সেই নোটিশের কোনো জবাব না দেন, তাহলে আদালত এই পরিস্থিতি বিবেচনা করতে পারেন যে 'খ', 'ক'-এর কাছে টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং সেই ধার পরিশোধের জন্যই চেকটি দিয়েছিলেন। তবে, 'খ' যদি আদালতে প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি 'ক'-এর কাছে কোনো টাকা ধার নেননি অথবা অন্য কোনো কারণে চেকটি দিয়েছিলেন, তাহলে আদালত ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সংক্ষেপে, লিগ্যাল নোটিশের জবাব না দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিগত প্রমাণ হতে পারে, তবে এটিই চূড়ান্ত প্রমাণ নয়। অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মামলার সূত্র: গোড়ান্টলা ভেঙ্কটেশ্বরা বনাম কোল্লা ভিরা [Gorantla Venkteswara v. Kolla Veera [2006 CrLJ 1]]
Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."