সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
ব্যাংক খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ ধারার মামলা করতে পারে কিনা?
একটি রায়ের মাধ্যমে আলোচনা করা যাক।
রায়ের সারমর্ম (Summary of the Judgement):
মামলাটি মূলত একটি ঋণের লেনদেন সংক্রান্ত। এম এ শুক্কুর (আপীলকারী) বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাংকের তৎকালীন সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জহিরুল হক (বিবাদী নং ১) শুক্কুরের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধি আইনের ৪০৬ ও ৪২০ ধারা এবং নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার অধীনে একটি ফৌজদারী মামলা (মামলা নং ১৮৭৬/১৯৯৭) দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ সংক্ষেপে: শুক্কুর একটি টেক্সটাইল মিল স্থাপনের জন্য ৩৩,৫৫,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ১৯৯২ সালে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং ১৫/১৯৯২) করে। পরবর্তীতে, শুক্কুরকে ১২টি কিস্তিতে টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। এই চুক্তির অধীনে, শুক্কুর ৫০,০০০ এবং ৩,৯৭,৮৭৫ টাকার দুটি চেক দেন। প্রথম চেকটি পরিশোধ হলেও দ্বিতীয় চেকটি একাধিকবার অপরিশোধিত হয়। এর ফলস্বরূপ, জহিরুল হক শুক্কুরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাটি দায়ের করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুক্কুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৪২০ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। শুক্কুর এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে দায়রা জজ আদালতে এবং পরে হাইকোর্ট বিভাগে (ফৌজদারী বিবিধ মামলা নং ১৫২/২০০১) আপীল করেন। হাইকোর্ট ২০০৩ সালে আপীল খারিজ করে দেন।
এরপর শুক্কুর সুপ্রিম কোর্টে আপীল করেন (ফৌজদারী আপীল নং ২৬/২০০৫)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয় যে, এটি মূলত একটি দেওয়ানী (civil) বিরোধ, ফৌজদারী (criminal) নয়। ব্যাংক ইতিমধ্যে তাদের পাওনা আদায়ের জন্য দেওয়ানী মামলা করেছে। শুধুমাত্র চেক বাউন্স হওয়া (অপরিশোধিত হওয়া) দণ্ডবিধি আইনের ৪২০ ধারার অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। ঋণদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সাধারণ আর্থিক লেনদেন ফৌজদারী অপরাধের আওতায় আসে না।
অতএব, সুপ্রিম কোর্ট আপীল মঞ্জর করেন এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ফৌজদারী মামলাটি বাতিল করেন।
সুত্র:
ব্যাংক খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ ধারার মামলা করতে পারে কিনা?
একটি রায়ের মাধ্যমে আলোচনা করা যাক।
রায়ের সারমর্ম (Summary of the Judgement):
মামলাটি মূলত একটি ঋণের লেনদেন সংক্রান্ত। এম এ শুক্কুর (আপীলকারী) বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাংকের তৎকালীন সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জহিরুল হক (বিবাদী নং ১) শুক্কুরের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধি আইনের ৪০৬ ও ৪২০ ধারা এবং নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার অধীনে একটি ফৌজদারী মামলা (মামলা নং ১৮৭৬/১৯৯৭) দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ সংক্ষেপে: শুক্কুর একটি টেক্সটাইল মিল স্থাপনের জন্য ৩৩,৫৫,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ১৯৯২ সালে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং ১৫/১৯৯২) করে। পরবর্তীতে, শুক্কুরকে ১২টি কিস্তিতে টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। এই চুক্তির অধীনে, শুক্কুর ৫০,০০০ এবং ৩,৯৭,৮৭৫ টাকার দুটি চেক দেন। প্রথম চেকটি পরিশোধ হলেও দ্বিতীয় চেকটি একাধিকবার অপরিশোধিত হয়। এর ফলস্বরূপ, জহিরুল হক শুক্কুরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাটি দায়ের করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুক্কুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৪২০ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। শুক্কুর এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে দায়রা জজ আদালতে এবং পরে হাইকোর্ট বিভাগে (ফৌজদারী বিবিধ মামলা নং ১৫২/২০০১) আপীল করেন। হাইকোর্ট ২০০৩ সালে আপীল খারিজ করে দেন।
এরপর শুক্কুর সুপ্রিম কোর্টে আপীল করেন (ফৌজদারী আপীল নং ২৬/২০০৫)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয় যে, এটি মূলত একটি দেওয়ানী (civil) বিরোধ, ফৌজদারী (criminal) নয়। ব্যাংক ইতিমধ্যে তাদের পাওনা আদায়ের জন্য দেওয়ানী মামলা করেছে। শুধুমাত্র চেক বাউন্স হওয়া (অপরিশোধিত হওয়া) দণ্ডবিধি আইনের ৪২০ ধারার অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। ঋণদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সাধারণ আর্থিক লেনদেন ফৌজদারী অপরাধের আওতায় আসে না।
অতএব, সুপ্রিম কোর্ট আপীল মঞ্জর করেন এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ফৌজদারী মামলাটি বাতিল করেন।
সুত্র:
BLR 2014 (AD) 265
ALR 5 (AD) 27
BLC 23 (AD) 148
Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."