সার্চ ইন্টারফেসে আপনাকে স্বাগতম

আপনি এখানে আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য সহজে খুঁজে পেতে পারেন। নির্দিষ্ট শব্দ বা সংখ্যা লিখে সার্চ করুন। এরপর ডান দিকের আপ এন্ড ডাউন আইকনে ক্লিক করে উপরে নিচে যান।

হুবহু মিল
কিছুটা মিল

নাবালিকা ভিকটিমের সাক্ষ্য | Case Reference

লিগ্যাল ভয়েস


সতর্কীকরণ! কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধিকাংশ নজীর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সকল নজীর এর সঠিকতার বিষয়ে কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইট কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কেস রেফারেন্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নজীর এর উপর নির্ভর এর আগে সংশ্লিষ্ট নজীরটির রেফারেন্স মিলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

নাবালিকা ভিকটিমের সাক্ষ্যই মুখ্য, কাজেই স্থানীয় ডাক্তার বৈরী ঘোষিত হলেও তা মামলার অভিযোগ প্রমাণে কোন বাধা সৃষ্টি করেনি। 


স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী যথাক্রমে আপীলকারীর চাচা ও ফুফা। তারা প্রথম থেকেই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে সচেষ্ট ছিলেন। পিডব্লিউ ১ ও ৩ এর সাক্ষ্যে আমরা এও পাই যে, আসামির আব্বা সালিশে বলেন যে, "এ যুগের ছেলেমেয়েরা এমন করে"; যা অত্যন্ত আপত্তিকর কথা। বোঝা যায় যে আসামিপক্ষ থানাকে প্রভাবিত করেছেন, ফলশ্রুতিতে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। এমনকি স্থানীয় ডাক্তার রমাকান্ত বিশ্বাস পিডব্লিউ-৫ হিসাবে সাক্ষ্য দিতে এসে পক্ষাশ্রিত হয়ে বৈরী ঘোষিত হয়েছে। যেহেতু এই মামলায় নাবালিকা ভিকটিমের সাক্ষ্যই মুখ্য, কাজেই স্থানীয় ডাক্তার বৈরী ঘোষিত হলেও তা মামলার অভিযোগ প্রমাণে কোন বাধা সৃষ্টি করেনি। মোঃ ইব্রাহিম গাজী-বনাম- রাষ্ট্র এবং অন্য একজন (Criminal) 21 ALR (HCD) ১১৩-১১৮

আপীলকারী তাকে ধর্ষণ করেছে। এই রকম ধর্ষণের অপরাধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাক্ষ্যকে বিশ্বাস করেই আসামিকে সাজা প্রদান করা সঠিক ও সমীচীন।

ভিকটিম পিডব্লিউ-২ এর সাক্ষ্যের সাথে পিডব্লিউ-১, ৩ ও ৪ এর সাক্ষ্য একত্রে বিবেচনা করলে আমরা ভিকটিমের সাক্ষীকে অবিশ্বাস করার কোন কারণ খুঁজে পাইনা ভিকটিম একজন ১৫ বছরের অবিবাহিত বালিকা এবং ধর্ষণে তার যোনিতে রক্তক্ষরণ হওয়ার মত সাক্ষ্য দেওয়ায় এবং আসামিপক্ষ ঘটনার পর সালিশে বসে দাম্ভিকতা দেখানো এবং পরে মামলা না করার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করায় আমাদের মনে এই মর্মে প্রতীতি জন্মেছে যে, এই মামলায় ভিকটিমের প্রদত্ত সাক্ষ্য সত্য ও বিশ্বাসযোগ্য, আপীলকারী তাকে ধর্ষণ করেছে। এই রকম ধর্ষণের অপরাধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাক্ষ্যকে বিশ্বাস করেই আসামিকে সাজা প্রদান করা সঠিক ও সমীচীন। এক্ষেত্রে বিজ্ঞ সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল কর্তৃক উদ্ধৃত স্টেট অব পাঞ্জাব -বনাম- গুরমিত সিং, (১৯৯৬) ২ সুপ্রীমকোর্ট কেসেস, ৩৮৪; আল-আমীন ও অন্য ৫ জন - বনাম- রাষ্ট্র, ৫১ ডিএলআর, ১৫৪; আব্দুস সোবাহান বিশ্বাস -বনাম- রাষ্ট্র, ৫৪ ডিএলআর, ৫৫৬ এবং বাদল ও অন্য একজন-বনাম- রাষ্ট্র, ৪ বিএলসি, ৩৮১ মামলায় প্রদত্ত সিদ্ধান্তসমূহ এই মামলায় প্রযোজ্য। আপীলকারী পক্ষে দাখিলকৃত রাষ্ট্র-বনাম- মোঃ পলাশ, ২০ বিএলসি (আপীল বিভাগ), ৩৪৮ মামলায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এই মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা, উক্ত মামলায় ভিকটিম ছিলেন বিবাহিতা এবং দুই সন্তানের জননী। তার সাক্ষ্যের কোন প্রত্যক্ষ কিংবা পারিপার্শ্বিক সমর্থনমূলক সাক্ষী আদালতের সামনে ছিলনা। অধিকন্তু তার নিজের সাক্ষ্যও আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি যা বর্তমান মামলার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। একইভাবে আপীলকারী কর্তৃক উদ্ধৃত আব্দুল ওয়াহেদ ওরফে চান্দু মিয়া-বনাম-রাষ্ট্র, ৪ বিএলসি ৩২০ মামলাটির ঘটনা বিষয়বস্তু এই মামলার সাথে খাপ খায়না। বলে প্রযোজ্য নয়। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, রায় ও দণ্ডাদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল সাক্ষীদের সাক্ষ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগে আপীলকারিকে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় সাজা এবং দণ্ডাদেশ প্রদান ক'রে কোন আইনগত ও ঘটনাগত ভুল করেননি। ফলশ্রুতিতে, এই আপীলটির কোন সারবত্ত্বা না থাকায় খারিজ/নামঞ্জুর করা হল। মোঃ ইব্রাহিম গাজী-বনাম- রাষ্ট্র এবং অন্য একজন (Criminal) 21 ALR (HCD) 113-118



Info!
"Please note that while every effort has been made to provide accurate case references, there may be some unintentional errors. We encourage users to verify the information from official sources for complete accuracy."

Post a Comment

Join the conversation