
সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২
দফা ৫
খুব সংক্ষেপে বীট দরখাস্তকারীগণের বক্তব্য হইতেছে যে যেহেতু তাহারা প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্তগণের সহিত একই সঙ্গে সম্মিলিত প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হইয়া উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন এবং নিজ নিজ ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন সেইহেতু শুধুমাত্র প্রশাসন ক্যাডারের জন্য পৃথক কোটা সংরক্ষণ বৈষম্যমূলক এবং বৈষম্যমূলক বিধায় সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে তাহা অবৈধ। তাহাদের বক্তব্য যে যেহেতু তাহারা সকলে একই সঙ্গে একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন, সেহেতু একই মাপকাঠিতে তাহাদের সকলের উপ-সচিব পদসহ সকল পদে পদোন্নতি হওয়া সমিচিন। ইহা ব্যত্যয় ঘটনা বা বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি সংবিধান বা আইনের উদ্দেশ্য নয়।
উল্লেখ্য যে সিভিল সার্ভিসের মোট ২৯ টি ক্যাডারের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে বি সি এস (প্রশাসন) অবস্থিত অর্থাৎ যে সকল প্রার্থী মেধা তালিকায় উপরের দিকে স্থান অধিকার করিয়াছেন এবং প্রশাসন ক্যাডারে যদি পছন্দ (option) জ্ঞাপন করিয়া থাকেন তাহা হইলে বি সি এস (প্রশাসন) এর শূন্য পদ সমুহে তাহাদিগকে নিয়োগ প্রদানের জন্য PSC সুপারিশ করিবে। যে সকল প্রার্থী মেধা তালিকায় উচ্চতর স্থান প্রাপ্ত হইতে ব্যর্থ হইয়াছেন তাহারা তাহাদের পছন্দ (option) সাপেক্ষে পরবর্তী বা তৎপরবর্তী ক্রমান্বয়ে অবশিষ্ট ২৮ টি ক্যাডারে নিয়োগের জন্য যোগ্য হইতে পারেন। এই ভাবে সকল প্রার্থীগণ PSC কতৃক অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অবতীর্ন হইবার সমান সুযোগ পান। তৎপর, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাহাদের নিজ নিজ ফলাফল ও পছন্দের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্তির সমান সুযোগ পান। লক্ষণীয় যে যদিও সকল প্রার্থী একই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হইতেছেন কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল ও নিজ নিজ পছন্দের কারণে বিভিন্ন ক্যাডারে পৃথক শ্রেণীভুক্ত হইয়া যাইতেছেন। কিন্তু যেহেতু এই শ্রেণীভুক্তকরন সার্বজনীন পরীক্ষা ও নিজ নিজ পছন্দের কারণে হইতেছে সেই হেতু উক্ত শ্রেণীভুক্তকরণ যৌক্তিক এবং ইহার যথাযুক্ত ভিত্তি-নিকষ (rational basis) রহিয়াছে যাহা সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের শর্ত পূরণ করে। হাইকোর্ট বিভাগ ইহার রায়ে উপরোক্ত প্রেক্ষাপট অনুধাবন করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন। Government of Bangladesh vs. Tauhid Uddin Ahmed (Mr. Justice A. B. M. Khairul Haque J) (Civil) 9 ADC 1