
আপীল বিভাগ
কর্তৃক
প্রদত্ত যে
কোনও
সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সকল
আদালতের উপর
বাধ্যতামূলক এবং
কোনও
বিচারক
এটি
উপেক্ষা করতে
পারবে
না।
তিনি
যদি
করেন
তবে
তা
কেবল
অবজ্ঞাপূর্ণ নয়,
বরং
সংবিধান লঙ্ঘনের সমতুল্যও হতে
পারে।
রাষ্ট্র বনাম
মুক্ত
খান,
৬৩
ডিএলআর
(এডি)
(২০১১)
৫৭
কোনও অধস্তন
আদালতের বিচারক
যদি
কোনও
মামলায়
হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া
কোনও
আদেশ
বা
নির্দেশনা মেনে
চলতে
ব্যর্থ
হন
তবে
তিনি
কেবল
আদালত
অবমাননার জন্য
দোষী
নন,
বরং
অবাধ্যতার জন্যও
দোষী।
রাষ্ট্র বনাম
ফারুক
আহমেদ,
৫১
ডিএলআর
(১৯৯৯)
৫১৫
আইনগত বিষয়ে
আপীল
বিভাগের কোনও
বিচারকের পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট
গুরুত্ব বহন
করে
এবং
যৌক্তিক বা
আইনি
কারণ
ছাড়া
হাইকোর্ট বিভাগ
কর্তৃক
একেবারেই অবহেলা
করা
উচিত
নয়।
[মাহমুদুর রহমান
বনাম
রাষ্ট্র, ৬৫
ডিএলআর
(২০১৩)
৪৬৭
সংবিধানের ১০০
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ
অধস্তন
বিচার
বিভাগের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। যদি
এই
আদালত
কোনও
একটি
নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে
কোনও
মামলার
কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে
অধস্তন
আদালতকে কোনও
বিচারিক আদেশ
প্রদান
করে,
তবে
সেই
আদেশ
পুরো
মেনে
চলা
অধস্তন
আদালতের দায়িত্ব। আদেশ
অমান্য
করলে
ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ
না
থাকার
কারণেই
এটা
বলা
যায়
না
যে
নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে
বিচার
শেষ
করার
জন্য
হাইকোর্ট বিভাগ
কর্তৃক
প্রদত্ত আদেশটি
সাধারণ
নির্দেশনামূলক। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করা
যাচ্ছে
যে
কিছু
অধস্তন
বিচার
বিভাগীয় কর্মকর্তার মনে
ধারণা
রয়েছে
যে।
উচ্চতর
বিচারিক কর্তৃপক্ষ যদি
নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে
কোনও
বিচার
বা
কাজ
শেষ
করতে
না
পারার
দরুন
কোনও
পরিণামের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা
না
বলে
থাকেন,
তবে
আদেশগুলো সাধারণ
নির্দেশনা প্রকৃতির। এটি
একেবারে ভুল
ধারণা।
যদি
হাইকোর্ট বিভাগের কোনও
বেঞ্চ
বা
আপিল
বিভাগ
কোনও
অধস্তন
আদালতকে নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে
বিচারকার্য সম্পন্ন করার
নির্দেশ দেয়,
তবে
সংশ্লিষ্ট আদালত
এটি
বাধ্যতামূলক হিসেবে
বিবেচনা করবেন।
তবে
যদি
সংশ্লিষ্ট আদালত
কোনও
বৈধ
কারণে
হাইকোর্ট বিভাগ
বা
আপীল
বিভাগ
কর্তৃক
নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে
বিচারকাজ শেষ
করতে
না
পারে,
তবে
আদেশ/দিকনির্দেশনা প্রদানকারী আদালতের নিকট আরও সময়
চাইতে
হবে।
সুপ্রীম কোর্টের যে
কোনও
বিভাগ
যদি
বিচারিক আদালত
কর্তৃক
দর্শানো ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না
হন,
তবে
আদালতের আদেশ
লঙ্ঘনের জন্য
সুপ্রীম কোর্ট
ব্যবস্থা নিতে
পারে।
মওদুদ
আহমেদ
বনাম
রাষ্ট্র ও
অন্যান্য, ৭১
ডিএলআর
(২০১৯)
এইচসিডি