
আইনের ভাষা যদি সুস্পষ্ট না হয়ে দুর্বোধ্য হয় তাহলে আইনের গর্ভে ব্যবহৃত ভাষাকে সম্প্রসারিত বা সীমিত করার জন্য প্রস্তাবনাকে ব্যবহার করা যেতে পারে। [কেশাবানান্দ ভারতী বনাম স্টেট অব কেরালা, এআইআর, ১৯৭৩ (এসসি) ১৪৬১]
আইনের ভাষা যদি সুস্পষ্ট হয় তাহলে প্রস্তাবনা দ্বারা উক্ত আইনের পরিধিকে কর্তন বা সীমিত করা যাবে না। [রাষ্ট্রীয় মিল মজদুর সংঘ বনাম এনটিসি (দক্ষিণ মহারাষ্ট্র), এআইআর, ১৯৯৬ (এসসি) ৭১০]
প্রস্তাবনা ব্যাখ্যার প্রশ্ন তখনই ওঠে যখন একটি আইনের কোন ধারা শব্দ অস্পষ্ট হয়। কিন্তু ধারাটি যদি সুস্পষ্ট হয় তাহলে প্রস্তাবনা বিবেচনা করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। [ নুরুদ্দিন খান বনাম কুটি বারুবিবি ৪ ডিএলআর ৬১৯]
কোন আইনে অর্থ খোজা এবং বোঝার জন্য প্রস্তাবনা একটি ভালো উপায়। সাধারণত কোন আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য কি ছিলো সেটিই প্রস্তাবনা আলোকপাত করে থাকে। আইনের কোন অস্পষ্টতা দুর করার জন্য বা কোন ধারার কোন শব্দের একাধিক অর্থ থাকার ক্ষেত্রে সঠিক অর্থ খুজে বের করার জন্য অথবা আইনের কার্যকারিতাকে এর প্রকৃত পরিধির মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে প্রস্তাবনার সাহায্য নেয়া যেতে পারে। [ ৪১ পি এল আর ২৭২] [ ৬৯ সি এল যে ২৭৩]
ধারা ২ (৪), ৩ ও ৯ এর ভাষা সুস্পষ্ট এবংদ্ব্যর্থহীন বিধায় এই সেকশনগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য প্রস্তাবনার সাহায্যের দরকার নেই। প্রস্তাবনা কোন ধারাকে বাতিল করতে পারেনা। [আর ভেনকাটাস্বামী নাইডু এবং অন্যান্য বনাম নারাশ্রম নারায়ন দাস ১৯৬৬ এআইআর ৩৬১]
আয়কর কার্যধারায় সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য নয়-আয়কর কর্তৃপক্ষকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং তাদের কার্যধারাকে খুবই সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যধারা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এজন্য আয়কর কার্যধারার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন প্রয়োগ হয় না। [শেঠ গুরমুখ সিং বনাম কমিশনার অব ইনকাম-ট্যাক্স, ১৯৪৪ এ আই আর (লাহোর) ৩৫৩ (২)] [অনরাজ নারায়ন দাস বনাম কমিশনার অব ইনকাম-ট্যাক্স, ১৯৫২ এ আই আর (পাঞ্জাব) ৪৬]
রীট কার্যধারায় যদি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় তাহলে পক্ষগণকে হলফনামার মাধ্যমে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। একই ভাবে দালিলিক সাক্ষ্যের প্রয়োজন হলে উক্ত দলিল অবশ্যই সাক্ষ্য আইনে উল্লেখিত যেকোন পন্থায় প্রমান করতে হবে। [পি এল ডি ১৯৬৪ (এসসি) ৬৩৬] [দি প্রভিন্স অব ইস্ট পাকিস্থান বনাম খিতি ধর রায়, ১৬ ডি এল আর (এসসি) ৪৫৭]
সালিশি কার্যক্রমে সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য নয়। [হাজী ইব্রাহীম কাশে কচিনওয়ালা বনাম নর্দান ইন্ডিয়ান অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লি. ১৯৫১ এ আই আর (কলকাতা) ২৩০]
বিভাগীয় তদন্তে কঠোর সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য নয়। [শিশির কুমার দাস বনাম রাষ্ট্র, ১৯৫৫ এ আই আর (কলকাতা) ১৮৩]
সাক্ষ্য আইনের ১ ধারা অনুযায়ী হলফনামা ব্যতীত সাক্ষ্য আইন সকল বিচারিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু দেওয়ানী কার্যবিধির ১৩৯ ধারা বলা হয়েছে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট হলফনামা পরিচালনা করতে পারেন যেটি এই মামলায় করা হয়েছে। দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে এই হলফনামাটি প্রমাণিত হয়েছে কিন্তু হলফনামাটি যে বৈধভাবে সম্পাদন এবং সত্যায়িত হয়নি তা খন্ডনের দায়িত্ব বিবাদীর উপর বর্তায়। যেহেতু বিবাদী হলফনামার সত্যতা খন্ডায় নি সেহেতু হলফনামাটি একটি দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য। [এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (রাজস্ব) বনাম সিরাজউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য, ৩ বিএলসি (এডি) ১১৪]
সাক্ষ্য আইনে বিচারিক কার্যধারা বলতে কি বোঝায় সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু ফৌজদারী কার্যবিধির ৪ (ড) ধারায় বলা হয়েছে বিচারিক কার্যধারা বলতে এমন কার্যধারাকে বোঝায় যে কার্যধারায় শপথের মাধ্যমে সাক্ষ্য নেয়া হয় বা নেয়া যেতে পারে। কোন অনুসন্ধানকে তখনই বিচারিক বলা যায় যখন উক্ত অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য কোন একটি ব্যক্তির সাথে আরেক ব্যক্তির অথবা ব্যক্তি সমূহের অথবা উক্ত ব্যক্তি এবং সম্প্রাদায়ের মধ্যে কোন আইনগত সম্পর্ক নির্ধারণ করা। [কিউই বনাম তুলজা, ১২ আই এল আর (বোম্বে) ৩৬, পৃ. ৪২]
সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী কোন সাক্ষ্য নয়। তবে এই স্বীকারোক্তি অন্যান্য সাক্ষ্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে। [ দুলা মিয়া ওরফে নুরুল ইসলাম বনাম রাষ্ট্র, ১৪ বিএলডি (এইচ সি ডি) ৪৭৭]
সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি অন্য আসামীর বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য নয় এবং এই স্বীকারোক্তি অন্য আসামীকে দন্ড প্রদানের একমাত্র ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। তবে আদালত এই স্বীকারোক্তিকে রেকর্ডীয় অন্যান্য স্বাধীন সাক্ষ্যের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে পারে। [রাষ্ট্র বনাম মোঃ মুসা ওরফে মুসাইয়া ওরফে শফির বাপ, ১৫ বিএলডি (এইচ সি ডি) ১৬৯]
এটা এখন সুপ্রতিষ্ঠিত যে, শক্তিশালী, স্বাধীন এবং সমর্থনযোগ্য সাক্ষ্য না থাকলে একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি, বিশেষ করে প্রত্যাহারকৃত স্বীকরোক্তির কোন সাক্ষ্যগত মূল্য নেই। [ফারুক মহাজন এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ১৭ বিএলডি (এইচ সি ডি) ১৫]
আইনের গৃহিত একটি নীতি হলো যে একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী অন্য আসামীর বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য নয়। ৩০ ধারার উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি অন্যান্য এমন সব সাক্ষ্যের নিশ্চয়তা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে যে সাক্ষ্য নিজেই আসামীকে দন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। [ আব্দুল আউয়াল এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ১৪ বিএলডি (এইচ সি ডি) ১৮৭]
একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী অন্য আসামীর বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য নয়। ৩০ ধারা অনুযায়ী একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি তার সহযোগী অন্য আসামীর বিরুদ্ধে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং অন্যান্য বৈধ সাক্ষ্যের নিশ্চয়তা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু কোন মৌলিক সাক্ষ্যের অনুপস্থিতিতে একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি অন্যান্য আসামীর বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। [রাষ্ট্র বনাম তাজুল ইসলাম এবং অন্য ৮ জন, ১৫ বিএলডি (এইচ সি ডি) ৫৩]
এমনকি যদিও একজন আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সত্য এবং স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, তবুও উক্ত স্বীকারোক্তি একই মামলার অন্য আসামীকে দন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না যদি অন্য কোন প্রমাণ উক্ত সহযোগী আসামীর বিরুদ্ধে না থাকে। [ড. ইসহাক আলী বনাম রাষ্ট্র, (১৯৯৩) ১৩ বিএলডি (এইচ সি ডি) ২৩৬]
এফিডেভিট এবং কাউন্টার এফিডেভিট বৈধ কোন সাক্ষ্য নয়। [সালাউদ্দিন (১৯৫৭) পিএলডি (লাহোর) ৮৪৪]
সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি কোন সাক্ষ্য নয়। [নাথু (১৯৫৬) পিএলডি (এসসি) (ইন্ডিয়া) ১৮৬]
সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি খুবই দূর্বল সাক্ষী। [ভুবনি সাহু ২ ডি এল আর ৩৯; (১৯৪৯) (১৯৫৬) পিএলডি পিসি ৯০]
আইনে ‘আদালত’ শব্দটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। হাইকোটের্র অধঃস্তন আদালত বলতে বিচার কার্য পরিচালনার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত আদালতের ক্রম অনুসারে হাইকোর্টের অধঃস্তন আদালতকে বোঝায়। [ ব্রজানাদান (১৯৫৬) পিএলডি (এসসি) (ইন্ডিয়া) ৬৫]
সুরতহাল প্রতিবেদনের বিবৃতি কোন সাক্ষ্য নয়। [সুরজান (১৯৫৭) পিএলডি (এসসি) (ইন্ডিয়া) ৩৭]
উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হলে শুধুমাত্র পারিপার্শিক সাক্ষ্য যথেষ্ট নয়। [গনি (১৯৬০) (১) কে এল আর ৪৬৭ (ডিবি)]
সম্ভাব্যতা সম্পর্কিত রায় অবশ্যই ঐ বিচক্ষণ ব্যক্তির হওয়া উচিত যিনি যথাযথভাবে মামলার সকল অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। [আব্দুল গনি (১৯৫৬) পি এল ডি (ডব্লিউ পি) লাহোর ৩০০]
কোন অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দাখিলকৃত লিখিত বিবৃতি কোন বৈধ সাক্ষ্য নয় যদিও আদালত এটি বিবেচনা করতে পারেন। [টুটি বেবি (১৯৪৬) এ আই আর (৩৩) পাটনা ৩৭৩ (ডিবি)]
স্বীকারোক্তি কোন সাক্ষ্য নয়। [সত্যপদ বিশ^াস ১৪ ডি এল আর ১২১]
বিচারের শুরুতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক দোষ স্বীকার সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। [সত্যপদ বিশ্বাস ১৪ ডি এল আর ১২১]
ঘটনার পরপরই ঘটনার বিষয়টি কেবলমাত্র অনেক আত্মীয় স্বজনকে বলাটা যথেষ্ট ঈড়ৎৎড়নড়ৎধঃরড়হ নয়। [মোহাম্মদ আব্দুল খালেক ১২ ডি এল আর (এসসি) ১৬৫]
সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য নয়। [২ ডি এল আর (এফসি) ৩৯]
‘আদালতের পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপিত’ অর্থ সাক্ষ্য আইনের বিধান মোতাবেক উপাস্থাপিত হওয়া। শুধুমাত্র ভারপ্রাপ্ত আদালতের নথিতে কোন দলিল রাখলেই সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়রা আদালতে সাক্ষ্য হয়েছে এটা বলা যাবে না। [সাধ্য সরদার ৯ ডি এল আর ৬৪৫]
যখন কোন একটি ঘটনা সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারার শর্ত মোতাবেক ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে এবং একটি ঘটনা প্রমাণের জন্য কোন বিশেষ পদ্ধতি না থাকায় উক্ত ঘটনা প্রমাণ করার জন্য উচ্চমানের প্রমাণ দাবি করা হলে সেটি আইনের ত্রুটি হবে। [মোঃ শাহাদাত হোসেন বনাম কোহিলাদ্দি শেখ, ৩৭ ডি এল আর ১২৬]
‘প্রমাণিত’ শব্দটির অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় সংজ্ঞায়িত ‘প্রমাণিত’ শব্দটি দুইটি অবস্থা নির্দেশ করে: (১) যখন একটি বিষয়ের অস্তিত্ব থাকাটা এতটাই সম্ভাব্য যে, একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি পরিস্থিতি অনুযায়ী এটার অস্তিত্ব অনুমান করবেন। এভাবে একটি বিষয় প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত করা যেতে পারে যখন বিষয়টি কোন সাক্ষী, জিনিস অথবা দলিল দ্বারা সত্যায়িত করা হয় অথবা বিষয়টি কান সাক্ষী, জিনিস অথবা দলিল দ্বারা পরোক্ষ সাক্ষ্য বা অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা প্রমান করা যেতে পারে যেটি আইন মূল ঘটনার যথেষ্ট নিকটবর্তী বলে মনে করে। এই প্রমাণ মূল বিষয়টির প্রত্যক্ষ কোন প্রমাণ নয় কিন্তু বিচার্য বিষয় ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ের প্রমাণ যেগুলি বিচার্য বিষয়ের সাথে এমনভাবে সম্পৃক্ত যে যদি সেগুলো এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় তাহলে উক্ত প্রমাণগুলি এমন অবস্থা গঠন করে যা দ্বারা মূল ঘটনার অস্তিত্ব আছে বলে বোঝায়। [মোঃ শাহাদাত হোসেন বনাম কোহিলাদ্দি শেখ, ৩৭ ডি এল আর ১২৬]
একটি ভিডিও ক্যাসেট সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী একটি দলিল এবং এটি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য। [খালেদা আক্তার বনাম রাষ্ট্র, ৩৭ ডি এল আর ২৭৫]
সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী কোন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য নয়। [মামুদ আলী বনাম রাষ্ট্র, ৩৭ ডি এল আর ২৬১]
প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর বক্তব্য যেহেতু কোন সাক্ষ্য নয় তাই কোন আসামীকে দোষী প্রমাণিত করতে প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর বক্তব্যকে ব্যবহার করা যায় না। কোন আসামীকে দোষী প্রমাণিত করতে কোন সহযোগী আসামীর নিজেকে না জড়িয়ে দেয়া স্বীকারোক্তি ব্যবহার করা যায় না কারণ সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী কোন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য নয়। [মনিরুদ্দিন সানু বনাম রাষ্ট্র, ৪০ ডি এল আর ৪০২]
আদালতের সংজ্ঞা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় এবং এটি শুধুমাত্র সাক্ষ্য আইনের উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য। [১৯৫৪ এ আই আর (পাঞ্জাব) ২৮৬; ১৯৫৪ এ আই আর (মাদ্রাজ) ৩২২; ৩৮ ডি এল আর ২৭০ প্যারা-৭ এবং ৯]
যখন কোন দলিল সহজাতভাবে সাক্ষ্য হিসেবে অগ্রহনযোগ্য নয় কিন্তু প্রমাণ করার পদ্ধতিটি অনিয়মিত হয়েছে, সেক্ষেত্রে উক্ত দলিলটি গৃহিত হওয়ার আগে যে কোন সময় উক্ত দলিলের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে আপত্তি উথাপন করতে হয়। [শাহ বানু বেগম বনাম ইফতিখার মোঃ খান ৮ ডি এল আর (ডব্লিউ পি) ১৩৩]
যখন সকল সাক্ষ্য অবস্থাগত সাক্ষ্য হয় তখন এর ঈঁসঁষধঃরাব বভভবপঃ হওয়া উচিত আসামীর নির্দোষিতার যুক্তিসংগত অনুমানকে বর্জন করা। [কেশব চন্দ্র মিস্ত্রি বনাম রাষ্ট্র, ১৯৮৫ বিএলডি (এডি) ৩০১; সফিউল্লাহ বনাম রাষ্ট্র, ১৯৮৫ বি এল ডি (এইচ সি) ১২৯ (বি)]
যখন নিহতের পুত্র এবং স্ত্রী মৃতকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে যার পরে মৃতের লাশ না পাওয়া পর্যন্ত মৃত ব্যক্তি নিখোজ ছিলো তখন অভিযুক্তের সঙ্গ থেকে মৃত ব্যক্তির নিরাপদ অবস্থায় চলে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তিসংগত কোন ব্যাখ্যা না থাকলে খুনের অবস্থাগত সাক্ষ্যকে অবিশ^াস করার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই। [আনিসুর রহমান বনাম রাষ্ট্র ১৯৮৬ বিএলডি (এডি) ৭৯]
আসামীর নির্দোষিতার বিষয়ে যদি বিচারকের মনে কোন যুক্তিসংগত সন্দেহ না হয়ে শুধুমাত্র সন্দেহ বা ক্ষীণ সন্দেহ থাকে তাহলে এই সন্দেহের কারণে আসামীকে বেনিফিট অব ডাউট দেয়া যায় না। [রাষ্ট্র বনাম তৈয়ব আলী, বিএলডি ১৯৮৭ (এডি) ২৬৫ (এ)]
যদি কোন সাক্ষ্যে মিথ্যার কোন প্রমাণ না থাকে তাহলে উক্ত সাক্ষ্যকে বাতিল করার জন্য সম্পর্ক কোন ভিত্তি নয়। [১৯৮৫ বি এল ডি ১১০ (এ)]
যৌথভাবে বিচারের ক্ষেত্রে একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অন্য আসামীর বিরুদ্ধে বিবেচ্য বিষয়। [মামুদ আলী বনাম রাষ্ট্র, ৩৭ ডি এল আর ২৬১]
যখন কোন একটি শব্দ বা শব্দ সমষ্টি একই আইনের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহ্নত হয় তখন উক্ত শব্দ বা শব্দ সমষ্টির অর্থ সব স্থানে একই হবে। কারণ এটা ভাবা অযৌক্তিক হবে যে আইন প্রণেতাগণ একই আইনে একই শব্দকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন। [কিউ ই বনাম নাগলা কালা, ২২ আই এল আর (বিন) ২৩৫, ২৩৮]
আদালতের সংজ্ঞা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। [ ই বনাম আশুতোষ চক্রবর্তী, ৪ আই এল আর (কলকাতা) ৪৮৩, ৪৯৩ (এফবি)]
এবং এটি শুধুমাত্র সাক্ষ্য আইনের উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য। [কিউ ই বনাম তালজা, ১২ আই এল আর (বোম্বে) ৩৬; জয়তি নারায়ন বনাম ব্রিজনান্দন সিং, ১৯৫৪ এ আই আর (পাটনা) ২৮৯; চাপরালা কৃষ্ণ বনাম গুডুর গোভার ধনায়া, ১৯৫৪ এ আই আর (মাদ্রাজ) ৮২২]
দেওয়ানী কার্যবিধি অথবা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে নিয়োগকৃত কমিশনার সাক্ষ্য গ্রহণ করতে আইনত ক্ষমতাবান। অতএব তিনি আদালত হিসেবে গণ্য। (অর্ডার ২৬, রুল ১৬, দেওয়ানী কার্যবিধি এবং ধারা ৫০৩-৫০৫, ফৌজদারী কার্যবিধি)। কিন্তু একজন সালিশকারী সাক্ষ্য গ্রহণ করতে ক্ষমতাবান হলেও আদালত নন। একজন সালিশকারী কর্তৃক গৃহিত কার্যক্রমে সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য নয়।
ইংরেজ লেখকগণ সাক্ষ্যকে দুভাগে ভাগ করেছেন- (১) প্রত্যক্ষ বা ইতিবাচক সাক্ষ্য এবং (২) পরোক্ষ বা অবস্থাগত সাক্ষ্য। প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য হলো সেই সকল সাক্ষ্য যা স্পষ্টভাবে তর্কিত ঘটনাকে নির্দেশ করে এবং যা কোন যুক্তির সাহায্য ছাড়াই তর্কিত বিষয়টি প্রমান করে। যেমন- কোন হত্যার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য। [গভর্নর অব বেঙ্গল ইন কাউন্সিল বনাম মতি লাল ঘোষ, ৪১ সি ১৭৩; ২০ ১ সি ৮১]
সাধারণত: অবস্থাগত সাক্ষ্যকে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যের মত সন্তোষজনক বলে বিবেচনা করা যায় না। পরিস্থিতি বিশেষ সিদ্ধান্তের দিকে পরিচালিত করতে পারে। [কেনচেগৌদা বনাম পি চৌনায়া, ১৯৫৩ এ আই আর (মিস) ২২]
প্রমাণিত, অপ্রমাণিত, প্রমাণিত নয়- এইটি নিশ্চয়তার মাত্রাকে নির্দেশ করে যেটি কোন ঘটনাকে প্রমাণিত হিসেবে বিবেচনার ক্ষেত্রে দরকার পড়ে। এই ঈষধঁংব অনুযায়ী মনের দুইটি অবস্থা নির্দেশ করে- প্রথমত: একজন ব্যক্তি কোন একটি বিষয়ের অস্তিত্ব থাকার বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হন। দ্বিতীয়ত: যদিও একজন ব্যক্তি কোন একটি ঘটনার অস্তিত্বের বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন, তিনি এটাকে এতটাই সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন যে উক্ত পরিস্থিতিতে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি এটার অস্তিত্ব আছে বলে মনে করে কাজ করবে। [ই বনাম রাম দাট, ১৪৩ আইসি ১২৯; ১৯৩৩ এ আই আর (ওআরএল) ৩৪০]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-যে অবস্থাগত সাক্ষ্য কোন আসামীকে দন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ ভিত্তি হতে পারে সে সাক্ষ্যের সংখ্যা বিষয়ে নিয়ম হলো প্রমাণিত ঘটনাটি অবশ্যই আসামীর নির্দোষিতার সাথে ওহপড়সঢ়ধঃরনষব হতে হবে এবং আসামীর অপরাধ ব্যতীত অন্য কোন যুক্তি সংগত অনুমানের বিষয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে না। [রাম কালা বনাম ই ১৯৪৬ এ আই আর (অল) ১৯১; মুহাম্মদ বনাম ই ১৯৪৫ এ আই আর (লাহোর) ২৭; হাসান দিন বনাম ই ১৯৪৩ এ আই আর (লাহোর) ৫৬; মঙ্গল সিং বনাম কে ই ১৯৩৭ এ আই আর (পিসি) ১৭৯]
কোন অবস্থার অস্তিত্বের বিষয়ে যখন কোন সাক্ষ্য আদালতকে ইতিবাচকভাবে সন্তুষ্ট করতে পারে না, তখন আসামী খালাস পেতে হকদার যদি সকল সাক্ষ্য বিবেচনা করার পর আসামী খালাস পেতে হকদার কি হকদার নয় সে বিষয়ে আদালতের মনে যুক্তিসংগত সন্দেহের উদ্রেক হয়।[পারভু বনাম এমপেরর, এ আই আর ১৯৪১ এ ৪০২; ৪৩ সিআর এল যে ১৭৭ (এফবি); রাষ্ট্র বনাম সিধ নাথ রায়, এ আই আর ১৯৫৯ এ ২৩৩; ১৯৫৮ এ এল যে ৫১১]
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারার অধীনে প্রদত্ত বিবৃতি সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা মোতাবেক সাক্ষ্য নয়। [শাহ আলম বনাম রাষ্ট্র ৪২ ডি এল আর (এডি) ৩১]
সাধারণত যে সকল বিষয়ে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করা হয়নি সে সকল বিষয়ে আদালত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আরজির অভিযোগ লিখিত বর্ণনায় চ্যালেঞ্জ করা হলে এবং উক্ত বিষয়ে কোন বিচার্য বিষয় প্রণীত না হলেও ঐ সকল বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করতে আদালত পক্ষগণকে অনুমতি দিতে পারেন এবং বিচার্য বিষয় প্রণয়ন ব্যতীতই ঐ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। [২২ ডি এল আর (এসসি) ৪২৫]
অবস্থাগত সাক্ষ্য যদি আসামীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রমাণ না দিয়ে শুধুমাত্র জোরালো সন্দেহের সৃষ্টি করে তাহলে তার উপর ভিত্তি করে আসামীকে শাস্তি দেয়া যায় না। [আলপনা রাণী দাস বনাম রাষ্ট্র, ৮ বি এল ডি ১৯৮৮, ১১৪]
অবস্থাগত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দন্ড-যদি এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয় যে মৃত ব্যক্তিকে আসামীর সাথে সর্বশেষ জীবিত অবস্থায় দেখা গেছে তাহলে আসামী মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য অথবা কমপক্ষে মৃত ব্যক্তির সাথে তার সম্পর্ক বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য। যদি অবস্থাগত স্বাক্ষ্য দ্বারা এই অনিবার্য সিদ্ধান্তে আসা যায় যে আসামী কর্তৃক একাই ভিকটিমের মৃত্যু ঘটানোর বিষয়টি তাকে দন্ড দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয় না, তাহলে অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা কখনোই আসামীকে দন্ড দেয়া যাবে না। অন্যভাবে বলা যায়, রাষ্ট্রপক্ষ অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা তার উহার মামলা প্রমাণ করতে পারে না। [রেজাউল হক বনাম রাষ্ট্র, ৪২ ডি এল আর ৪৪০]
স্ত্রী হত্যা-আসামীর ব্যাখ্যা-সাধারণত যে মৃত্যুর জন্য কোন আসামীর বিচার হচ্ছে সেই মৃত্যুর বিষয়ে জবাবদিহীতা করতে আসামী বাধ্য নয়। কিন্তু যেহেতু আসামী তার স্ত্রীর সাথে একই বাসায় একই সাথে বসবাস করার সময় খুনটি হয়েছে, সেহেতু আসামী তার স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে বাধ্য। যদি আসামী মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করার বিষয়ে চুপ থাকে তাহলে আসামীই উক্ত মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। [রাষ্ট্র বনাম কালু বেপারী, ৪৩ ডি এল আর ২৪৯]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-কোন আসামীকে দন্ড প্রদানের ভিত্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থাগত সাক্ষ্যের সক্ষমতা বিষয়ে বিধান হলো প্রমাণিত ঘটনাটি অবশ্যই আসামীর নির্দোষিতার সাথে ওহপড়সঢ়ধঃরনষব হতে হবে এবং আসামীর অপরাধ ব্যতীত অন্য কোন যুক্তি সংগত অনুমানের বিষয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে না। [রাষ্ট্র বনাম আলী কিবরিয়া ৪৩ ডি এল আর ৫১২]
নির্দোষিতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উপাদান- যখন আসামীর নির্দোষিতার বিষয়ে সংগতিপূর্ণ কোন উপাদান রেকর্ডে আনা হয় যেটি যুক্তিসঙ্গতভাবে সত্য হতে পারে, এমনকি যদিও এই উপাদান ইতিবাচকভাবে সত্য বলে প্রমাণ করা না হয়, আসামী সেক্ষেত্রে খালাস পেতে হকদার। [রাষ্ট্র বনাম আলী কিবরিয়া ৪৩ ডি এল আর ৫১২]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-অপরাধ প্রমাণে এর পর্যাপ্ততা- অত্র মামলায় বিচারিক আদালত যে অবস্থাগত সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করেছেন সেই সাক্ষ্য চুড়ান্তরূপে আসামীর অপরাধকে নির্দেশ করে না। ঘটনাস্থলে আসামীর ঘোরাঘুরি আসামীর বিরুদ্ধে একটি সন্দেহের জন্ম দিতে পারে কিন্তু এই সন্দেহ তাকে দন্ড প্রদান করার ভিত্তি হতে পারে না। [আলী আহমেদ মালাকার বনাম রাষ্ট্র, ৪৩ ডি এল আর ৪১০]
আত্মীয়ের সাক্ষ্য-আত্মীয়ের সাক্ষ্য যদি স্বাভাবিক ও উপযুক্ত হয় তাহলে শুধুমাত্র আত্মীয় হওয়ার কারণে তাদের সাক্ষ্য বাতিল করা যায় না। [শাহাদাত আলী বনাম রাষ্ট্র, ৪৪ ডি এল আর ২১৭]
অবস্থাগত সাক্ষ্য- অপরাধ বিজ্ঞানের মূলনীতি হলো অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা অনিবার্যভাবে সিদ্ধান্তে পৌছাতে হবে যে আসামীরা অপরাধ সংঘটনকারী এবং এই ধরণের সাক্ষ্য আসামীর নির্দোষিতার সাথে ওহপড়সঢ়ধঃরনষব হওয়া উচিত। [তাসলিমুদ্দিন বনাম রাষ্ট্র, ৪৪ ডি এল আর ১৩৬]
স্ত্রী হত্যা-আসামী স্বামীর ব্যাখ্যা- যেহেতু স্বামীর হেফাজতে থাকার সময় স্ত্রী খুন হয়েছিলো তাই স্বাভাবিক অনুমান হলো স্বামীই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। সাধারণত যে মৃত্যুর জন্য কোন আসামীর বিচার হচ্ছে সেই মৃত্যুর বিষয়ে জবাবদিহীতা করতে আসামী বাধ্য নয়। কিন্তু যেহেতু আসামী তার স্ত্রীর সাথে একই বাসায় একই সাথে বসবাস করার সময় খুনটি হয়েছে, সেহেতু আসামী তার স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে বাধ্য। অত্র মামলায় আপীলকারী দাবি করছে যে ভিকটিম আত্মহত্যা করেছে। আপীলকারী এই দাবি সন্তোষজনক নয়। সন্তোষজনক ব্যাখ্যার অনুপস্থিতিতে এবং প্রদত্ত ব্যাখ্যা মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হওয়ায় আমাদের মতে আপীলকারীই দায়ী। [সামসুদ্দিন বনাম রাষ্ট্র, ৪৫ ডি এল আর ৫৮৭]
নিরপেক্ষ সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থন- কর্তৃক প্রদত্ত সাক্ষ্য কলুষিত বিধায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাক্ষী দ্বারা সমর্থন হওয়া খুব জরুরী। [এ.কে.এম. মুখলেসুর রহমান বনাম রাষ্ট্র, ৪৫ ডি এল আর ৬২৬]
অবস্থাগত সাক্ষ্য- অপরাধ প্রমাণে ব্যবহ্নত অবস্থাগত সাক্ষ্যকে অবশ্যই চুড়ান্তরূপে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সাক্ষ্য আইন অবশ্যই এমন একটি পরিপূর্ণ Chain তৈরি করবে যে এটা শুধুমাত্র আসামীর অপরাধের সাথে অসংগতিপূর্ণই হবে না বরং নির্দোষিতার যুক্তিসংগত অনুমানের সাথেও অসংগতিপূর্ণ হবে। [রাষ্ট্র বনাম শ্রী রনজিত কুমার প্রামাণিক, ৪৫ ডি এল আর ৬০০]
আত্মীয়তার সম্পর্ক- কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য পক্ষপাতিত্বমূলক এবং মিথ্যা বলে প্রতীয়মান না হলে শুধুমাত্র সম্পর্ক উক্ত সাক্ষ্য বাতিল করার জন্য কোন ভিত্তি হতে পারে না। [ সিরাজ মল এন্ড অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪৫ ডি এল আর ৬৮৮]
ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ-কোন সরকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অফিসিয়াল রেজিষ্ট্রারে জন্ম নিবন্ধন করা না হরে একজন ব্যক্তির বয়স সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারে না। এমতাবস্থায় আদালতের সামনে উক্ত ভিকটিম মেয়েকে উপস্থাপন করা হলে তার আচার আচরণ এবং শারিরীক গঠন দেখে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি আদালতের উপর বর্তায়। [নুরুন্নাহার খাতুন বনাম রাষ্ট্র, ৪৬ ডি এল আর ১১২]
সহযোগী আসামীর সাক্ষ্য-একজন আসামীর সত্য স্বীকারোক্তি অন্য সহযোগী আসামীর ক্ষেত্রে একই বিচারে সীমিত পরিসরে ব্যবহার করা যেতে পারে। সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি কোন সাক্ষ্য নয় তবে যদি স্বীকারোক্তি সত্য এবং স্বেচ্ছায় প্রদত্ত বলে প্রতীয়মান হলে উক্ত স্বীকারোক্তি অন্য সহযোগী আসামীর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত সাক্ষ্যের নিশ^য়তা বিধানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। [আব্দুল হোসেন এবং অন্যান্য বনামা রাষ্ট্র, ৪৬ ডি এল আর ৭৭]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-যদি Circumstances কোন বিশ^স্ত এবং পর্যাপ্ত সাক্ষ্য দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হয় এবং শুধুমাত্র অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা যদি আসামীর অপরাধের অনুমানের বিষয়ে কোন অনিবার্য সিদ্ধান্ত নেয়া না যায় এবং অবস্থাগত সাক্ষ্য আসামীর নির্দোষিতার ক্ষেত্রে সংগতিপূর্ণ হয় তাহলে এই অবস্থাগত সাক্ষ্য আসলে কোন সাক্ষ্য নয় এবং আসামীকে সন্দেহের সুযোগ দিতে হবে। [বকুল এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪৭ ডি এল আর ৪৮৬]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-অবস্থাগত সাক্ষ্য এতটাই শক্ত হতে হবে যে আসামীর নির্দোষিতার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। [রাষ্ট্র বনাম বলয় চন্দ্র সরকার ৪৭ ডি এল আর ৪৬৭]
১৬৪ ধারার জবানবন্দি- কোন মামলার বিচারিক আদালত কর্তৃক ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড না হয়ে যদি অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেকর্ড হয় তাহলে উক্ত জবানবন্দি তার সামনে উপস্থাপিত সাক্ষীর জবানবন্দি নয় এবং এজন্য উক্ত জবানবন্দিকে মৌখিক সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবেনা। এ ধরণের জবানবন্দিকে আসামীর অপরাধ বা নির্দোষিতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে মৌলিক সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার যাবে না। [বাবলু এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪৭ ডি এল আর ৫৩৭]
পক্ষপাতদুষ্ট সাক্ষ্য- বাদীপক্ষের একজন সাক্ষী স্বয়ং পক্ষপাতদুষ্ট হয় না বা একজন চাক্ষুস সাক্ষী শুধুমাত্র বাদীপক্ষকে সমর্থন করার জন্য এসেছে বলেই তার সাক্ষ্যকে উপেক্ষা করা যায় না। সকল সাক্ষ্য বিবেচনা করা পর সামগ্রীকভাবে সাক্ষীগণের সাক্ষ্য মূল্যায়ন করা দরকার ছিলো। [রাষ্ট্র বনাম আব্দুল খালেক ওরফে আব্দুল খালেক হাওলাদার, ৪৯ ডি এল আর (এডি) ১৫৪]
সনাক্তকরণ- গভীর রাতে টর্চ ও হেরিকেনের আলোয় করা সনাক্ত সন্দেহজনক। [আবু বক্কর এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪৯ ডি এল আর ৪৮০]
সাক্ষ্য যাচাই বাছাই- একজন সাক্ষীর কোন ঘটনা বাড়িয়ে এবং সাজিয়ে বলার প্রবণতা আছে এবং প্রকৃত আসামীর সাথে আরও কিছু ব্যক্তিকে মিথ্যাভাবে জড়িয়ে সাক্ষী দেয়ার প্রবণতা আছে। সাক্ষ্যগুলোর গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে আদালতকে যাচাই বাছাই করতে হয়। যদি অবস্থা এমন হয় যে কোন মিথ্যা থেকে সত্যকে বের করা অসম্ভব, তাহলে সম্পূর্ণ সাক্ষ্যই বাতিল করা আদালতের জন্য ঠিক হবে। [মাসুম এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪৯ ডি এল আর ৩৪৯]
অবস্থাগত সাক্ষ্য- রাষ্ট্র পক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সাক্ষ্য অবস্থাগত সাক্ষ্য হওয়ায় এবং অবস্থাগত সাক্ষ্যের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ঠিক না থাকায়, রাষ্ট্রপক্ষ আপীলকারীর বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। [নুরু মিয়া এবং অন্য একজন বনাম রাষ্ট্র, ৪৯ ডি এল আর ৯৭]
আত্মীয়ের সাক্ষ্য- কোন পক্ষের সাথে সাক্ষীগণের সম্পর্ক তাদের সাক্ষ্য অবিশ্বাস করার ক্ষেত্রে একমাত্র ভিত্তি হতে পারেনা যদিনা তাদের সাক্ষ্যে কোন বৈসাদৃশ্যতা এবং সহজাত দূর্বলতা পাওয়া যায়। [বাচ্চু মিয়া বনাম সামাদ মিয়া এবং অন্যান্য ৫০ ডি এল আর ৫৬৪]
পক্ষপাতদুষ্ট সাক্ষ্য- কোন সাক্ষ্যে সহজাত দূর্বলতা এবং/অথবা বৈসাদৃশ্যতা যা সাক্ষ্যকে অবিশ্বাসযোগ্য করে তোলে সে টা না থাকলে পক্ষপাতদুষ্ট সাক্ষ্যকে বাতিল করা যায় না। [দুলাল মিয়া @ দুলাল @ নুরুন নবী বনাম রুহুল আমিন এবং অন্যান্য, ৫০ ডি এল আর ৬১৮]
পুলিশের সাক্ষ্য- পুলিশের সাক্ষ্য যদি বিশ্বাসযোগ্য হয় তাহলে এরূপ সাক্ষের উপর ভিত্তি করে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করতে কোন বাধা নেই। [নিজাম হাজারী বনাম রাষ্ট্র, ৫৩ ডি এল আর ৪৭৫]
আংশিক সাক্ষ্য-যদি কোন সাক্ষ্যের কিছু অংশ অবিশ্বাস করা হয় তাহলে বাকি অংশটুকু কোন স্বাধীন স্বাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত না হলে বিশ্বাস করা যাবে না এমনটা বলার এখতিয়ার আইনে নেই। বিশেষ করে যখন এই বাকি অংশটুকু মামলার বিরাজমান পারিপাশির্^ক অবস্থা দ্বারা সমর্থিত হয়। [হযরত খান @ হযরত আলী খান বনাম রাষ্ট্র, ৫৪ ডি এল আর ৬৩৬]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-যদি এটা প্রমাণিত হয় যে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় সর্বশেষ আসামীর সাথে দেখা গেছে তাহলে আপীলকারীর নিকট থেকে মৃত ব্যক্তির সুস্থ অবস্থায় চলে যাওয়ার ব্যাপারে কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা না থাকলে আসামীকেই দোষী হিসেবে ধরে নেয়া যায়। [ভোলা বনাম রাষ্ট্র, ৫৫ ডি এল আর ৩৬]
সহযোগী আসামীর সাক্ষ্য-সহযোগী আসামীর সাক্ষ্য অন্যান্য সাক্ষ্যকে (যদি থাকে) সমর্থন করার জন্য বিবেচনা করা যায়। কিন্তু অত্র মামলায় আপীলকারী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অন্য কোন সাক্ষ্য নেই। অতএব, ইদ্রিসকে কোন সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে দন্ড দেয়া হয়নি এবং এজন্য তার দন্ড বাতিল হতে বাধ্য। [রাষ্ট্র বনাম রফিকুল ইসলাম, ৫৫ ডি এল আর ৬১]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-অবস্থাগত সাক্ষ্য চাক্ষুস সাক্ষীর তুলনায় অকাট্য হতে পারে। একজন চাক্ষুস সাক্ষীর জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া কঠিন কিছু নয়। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য অবস্থাগত উপস্থাপন করা খুবই কঠিন। এজন্য অবস্থাগত সাক্ষ্য যদি বিশ^াসযোগ্য হয় তাহলে উক্ত সাক্ষ্য চাক্ষুস সাক্ষ্যের তুলনায় বেশি অকাট্য হয়। [রাষ্ট্র বনাম মোসলেম, ৫৫ ডি এল আর ১১৬]
দেওয়ানী মামলায় ফৌজদারী অভিযোগ- যদিও একটি দেওয়ানী মামলায় সকল প্রশ্ন সম্ভাবনার গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। একটি দেওয়ানী মামলায় ফৌজদারী প্রকৃতির অভিযোগ উথাপন করা হলে উক্ত অভিযোগ উচ্চমানের সম্ভাব্যতা দ্বারা প্রমাণ করতে হবে। [ইসলামী ব্যাংক এবং অন্যান্য বনাম দেওয়ান মোঃ ইউসুফ, ৫৫ ডি এল আর ৬২৪]
সন্দেহের সুবিধা-যদি রেকর্ডে সমর্থনযোগ্য কোন সাক্ষ্য থাকে তাহলে আসামীকে সন্দেহের সুবিধা দেয়া যাবে। সন্দেহ সৃষ্টির জন্য বা সন্দেহের সুবিধা প্রদান করার জন্য সাক্ষ্য এমন হবে যে সেটা এমন সন্দেহের দিকে ধাবিত করতে পারে। [আল-আমিন এবং অন্য ৫ জন বনাম রাষ্ট্র, ৫১ ডি এল আর ১৫৪]
পুলিশের সাক্ষ্য-পুলিশ সাক্ষীর সাক্ষ্য বিচার বিশ্লেষণ করে যদি তা বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন তবে স্থানীয় সাক্ষী অভিযোগকারী পক্ষের সমর্থনে সাক্ষ্য না দিলেও বা সাক্ষ্য দিলে তা সত্য না হলে পুলিশ সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে আসামীকে দোষী সাব্যস্থ করতে আইনত: কোন বাধা নেই। [আব্দুল রাজ্জাক তালুকদার বনাম রাষ্ট্র পক্ষে ডেপুটি কমিশনার, বরিশাল, ৫১ ডি এল আর ৮৩]
সম্পর্কযুক্ত সাক্ষ্য-শুধুমাত্র সাক্ষীগণ অভিযোগকারীপক্ষের সাথে সম্পর্কিত হলে বা আসামীদের সাথে তাদের শত্রুতা থাকলেই তাদের সাক্ষ্য বর্জন করা যায় না যদি তাদের সাক্ষ্য অন্য নিরপেক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্যের দ্বারা বা ঘটনারও পারিপাশির্^কতার দ্বারা সমর্থিত হয়। [সবুর আলম এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র (আদি এখতিয়ার), ৫১ ডি এল আর ১৬]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-পরস্পর সম্পর্কিত পরিস্থিতি এটা নির্দেশ করে যে আপীলকারীগণ মৃত ভিকটিম বিশ^জিৎকে মারাত্মকভাবে আক্রমন করেছিলো এবং গুরুত্বর কোপ মেরে তার মৃত্যু ঘটিয়েছে যেখানে আপীলকারী গুলজার উক্ত ঘটনায় সবচেয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলো এবং ৪নং সাক্ষী তাকে সর্বশেষ মৃত ব্যক্তির সাথে দেখেছিলো যখন গুলজার খালের পূর্বদিকে তাকে ধাওয়া করছিলো এবং মামলার পরিস্থিতি পরস্পরের সাথে এমন পরিপূর্ণভাবে সংযুক্ত যার দ্বারা এটা ছাড়া অন্য কোন সিদ্ধান্তে পৌছানোর সুযোগ নেই যে আপীলকারী ও তার সহযোগীরা মিলে বিশ^জিৎকে হত্যা করেছে। [গুলজার বিশ^াস এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র ৫বি এল সি ২৭৮]
হত্যার উদ্দেশ্য-রাষ্ট্রপক্ষ জঘন্য খুনের অপরাধের উদ্দেশ্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায়, এটা বলা যায় না যে ৬ জন আসামী বা বাড়িটির ১৪ জন সদস্যের সবাই যৌথভাবে হত্যার জন্য দায়ী। [জাহিরুল আলম কামাল এবং অন্য একজন বনাম রাষ্ট্র ১ বিএলসি ৩২৫]
সন্দেহের সুবিধা-যেহেতু বাদীপক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বা অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা বাড়িটির সকল সদস্য বা কোন একটি বিশেষ সদস্য কর্তৃক চাপাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রমাণ উপস্থাপন পূর্বক তার মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দন্ড বজায় রাখা কঠিন বিধায় দন্ডিত আপীলকারী সন্দেহের সুবিধার ভিত্তিতে খালাস পেতে হকদার। [জাহিরুল আলম কামাল এবং অন্য একজন বনাম রাষ্ট্র ১ বিএলসি ৩২৫]
অবস্থাগত সাক্ষ্য- রাষ্ট্র পক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সাক্ষ্য অবস্থাগত সাক্ষ্য হওয়ায় এবং অবস্থাগত সাক্ষ্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত না হওয়ায়, রাষ্ট্রপক্ষ আপীলকারীর বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যার জন্য আপীলকারীকে সন্দেহের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। [নুরু মিয়া এবং অন্য একজন বনাম রাষ্ট্র, ১ বি এল সি ৫৮২]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-যদি বাদীপক্ষের ১ এবং ২ নং সাক্ষীর সাক্ষ্য ৫ নং সাক্ষীর সাক্ষ্যের সাথে মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে এটা বোঝা যায় যে ভিকটিম সেরু মিয়াকে আপীলকারী মোঃ সেলিম মিয়াসহ আসামীগণের সাথে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিলো। এক্ষেত্রে অবস্থাগত সাক্ষ্য দ্বারা আসামীগণ কর্তৃক ভিকটিমকে অপহরণের অপরাধটি প্রমাণিত হয় এবং তারা দন্ডবিধির ৩৬৪ ধারা অনুযায়ী অপরাধী। [মোঃ সেলিম বনাম রাষ্ট্র, ৪ বি এল সি ২৬১]
সন্দেহের সুবিধা- রাষ্ট্রপক্ষের ১নং সাক্ষী ঘটনার ১৩ দিন পরে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী দায়ের করলেও Condemned prisioner কে দাড়িয়ে থাকতে দেখা এবং এরপর ভিকটিম মেয়েটিকে নদীর তীরে তার কাধে নেয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উক্ত প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। বিধায় উক্ত ঘটনা সম্পর্কিত রাষ্ট্রপক্ষের ৩ নং সাক্ষীর দেয়া সাক্ষ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং এ কারণে রাষ্ট্রপক্ষের ১, ৩, ৪, ৫, ৮, ৯ এবং ১৫ নং সাক্ষীর সাক্ষ্যকে বিশ^াস করা যায় না এবং রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে Condemned prisioner এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিধায় তিনি সন্দেহের সুবিধা পাওয়ার হকদার এবং তাকে খালাস দেয়া হয়। [রাষ্ট্র বনাম সৈয়দ হাবিবুর রহমান @ রকেট ৪ বি এল সি ৫৪৫]
সন্দেহের সুবিধা-যেহেতু বাদিনীর মুখে, গলায় এবং স্তনে তর্কিত ধর্ষণের সময় কোন আঘাতের চিহ্ন নেই এবং মেডিকেল বোর্ডও দুজন ভিকটিমের sexual violence এর কোন সন্ধান পায়নি, বিধায় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি এবং এজন্য আপীলকারীগণ সন্দেহের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। [আব্দুল আজিজ (মোঃ) এবং অন্য আরেকজন বনাম রাষ্ট্র, ২ বি এল সি ৬৩০]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-দন্ড প্রদানের জন্য অত্র মামলার অবস্থাগত সাক্ষ্য এতটাই দুর্বল, সন্দেহজনক এবং ঠুনকো যে এর উপর ভিত্তি করে দন্ড প্রদান করা যায় না। [ রাষ্ট্র বনাম মনু মিয়া এবং অন্যান্য, ৬ বি এল সি ৪০২]
সাক্ষ্যের মূল্যায়ন-বাদীপক্ষের সাক্ষীর সাক্ষ্যের সতর্কমূলক পর্যালোচনা এটা নির্দেশ করে যে বাদীপক্ষের সাক্ষীর সাক্ষ্য বৈষম্যপূর্ণ, অসংগতিপূর্ণ এবং বিশ^াসের অযোগ্য। বাদীপক্ষের সাক্ষীর সাক্ষের মধ্যে যে বৈষম্য তা মারাত্মক এবং এই বৈষম্য বাদীপক্ষের মামলাকে সন্দেহযুক্ত করেছে। [রাষ্ট্র বনাম সাবির মিয়া এবং অন্যান্য, ৮ বি এল সি ২৩৫]
জ্ঞাতি সাক্ষী-শুধুমাত্র সম্পর্ক কোন সাক্ষীর সাক্ষ্যকে বাতিল করার ভিত্তি হতে পারে না যদি না উক্ত সাক্ষ্য অবিশ্বাস্য এবং পক্ষপাতিত্বমূলক বলে প্রতীয়মান না হয়। [আব্দুল হাকিম @ হেনজু এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৮ বি এল সি ৩৬২]
জ্ঞাতি সাক্ষী- আইনে এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত যে শুধুমাত্র সাক্ষীর সম্পর্ক স্বয়ং বা ভিক্টিমের সাথে সম্পর্ক সাক্ষ্যকে নির্ভরযোগ্যহীন করে না। যদি আদালত কোন সাক্ষীকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন তবে আদালত উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করতে পারেন যদিও উক্ত সাক্ষী ভিক্টিম বা অন্য সাক্ষীর সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে এরূপ সাক্ষ্য অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সাক্ষীর সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত হতে হয় যারা ভিক্টিমের সাথে সম্পর্কিত নয়। [জাহেদ আলী ফোরম্যান (চালক) এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র ৯ বি এল সি (এডি) ১২২]
পুলিশ সাক্ষী- যখন কোন অস্ত্র মামলায় পুলিশ সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাড়ায় তারা পুলিশ সাক্ষী বলেই তাদের সাক্ষী সাক্ষ্য বাতিল করা যাবে না। [নজরুল ইসলাম বনাম রাষ্ট্র ৯ বি এল সি ৪১৮]
ভিকটিমের সাথে সম্পর্কিত সাক্ষী- একজন সাক্ষীর সাথে ভিকটিমের সম্পর্ক আছে বলেই তার সাক্ষ্য বাতিল করতে হবে এমন কোন আইন নেই। নিকট আত্মীয়ের সাক্ষ্য খুব গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ করতে হবে তার সাক্ষ্যে মিথ্যার কোন চিহ্ন আছে কি না। নিকট আত্মীয় নিরপেক্ষ সাক্ষী হলে তাকে আগ্রহী সাক্ষী হিসেবে ধরে নেয়া যাবে না। [রাষ্ট্র বনাম আইনুল হক, ৯ বি এল সি ৫২৯]
স্ত্রী হত্যা-আসামী স্বামীর ব্যাখ্যা- সাধারণত যে মৃত্যুর জন্য কোন আসামীর বিচার হচ্ছে সেই মৃত্যুর বিষয়ে জবাবদিহীতা করতে আসামী বাধ্য নয়। কিন্তু যেহেতু আসামী তার স্ত্রীর সাথে একই বাসায় একই সাথে বসবাস করার সময় খুনটি হয়েছে, সেহেতু আসামী তার স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে বাধ্য। [আবুল কালাম মোল্লা বনাম রাষ্ট্র, ৫১ ডি এল আর ৫৪৪]
সহযোগী আসামীর সাক্ষ্য- যেহেতু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শপথের মাধ্যমে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই এবং জেরার মাধ্যমে স্বীকারোক্তিকে পরীক্ষা করা হয় না সেহেতু অন্য সহযোগী আসামীর বিরুদ্ধে উক্ত স্বীকারোক্তি কোন মৌলিক সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। [ মজিবার বনাম রাষ্ট্র, ৫১ ডি এল আর ৫০৭]
সহযোগী আসামীর সাক্ষ্য- স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অন্য কোন স্বাধীন সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত না হলে অন্য সহযোগী আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় না। [আবু সায়িদ বনাম রাষ্ট্র, ৫৩ ডি এল আর ৫৫৯]
সাক্ষ্যের মূল্যায়ন- ৪ জন চাক্ষুস সাক্ষীর প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য থাকা সত্বেও হাইকোর্ট বিভাগ ঘটনা, সময় এবং স্থান সম্পর্কে মনে সন্দেহ তৈরি করে প্রধান আসামীকে খালাস দিয়ে ভুল করেছেন। [বাংলাদেশ বনাম মোহাম্মদ খান, ৪২ ডি এল আর (এডি) ১৯২]
সাক্ষ্যের মূল্যায়ন-অবস্থাগত সাক্ষ্য-এই মামলায় হত্যার শিকার একটি বালককে দুজন যুবক আসামী কর্তৃকত ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সে উধাও হওয়ার আগে তাকে উক্ত দুজন আসামীর সাথে দেখা গিয়েছিলো। এর কিছুক্ষণ পরে উক্ত বালকের লাশ পাওয়া গিয়েছিলো। ভিকটিম খায়রুলকে আসামী খসরু কর্তৃক ডেকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সাক্ষ্যের মাধ্যমে সন্তোষজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এবং সাক্ষীগণ সন্তোষজনকভাবে এটা প্রমাণ করেছিলো যে ভিকটিম দুজন আসামীর সাথে তাদের গ্রাম নোয়াপাড়া হতে টেকের হাট নামক একটি দুরবর্তী স্থানে বাসে গিয়েছিলো এবং সেখানে গত ৪/১/৭৯ সালে বিকাল ৪ টা থেকে ৪.৩০ এর দিকে নেমেছিলো। এটা আসামীদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত দ্বিতীয় ঘটনা। পরেরদিন আনুমানিক বিকাল ৩ টা থেকে ৩.৩০ ঘটিকার দিকে ভিকটিম খায়রুলের লাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আসামীদেরকে ভিকটিমের সাথে দেখা গিয়েছিলো। হত্যার চাক্ষুস সাক্ষ্যের অনুপস্থিতিতে এটা রাষ্ট্রপক্ষের ১১ এবং ১২ নং সাক্ষী কর্তৃক তৃতীয় অবস্থা। পুলিশের নিকট প্রদত্ত বিবৃতি এবং তাদের সাক্ষ্যের মধ্যে বৈসাদৃশ্য থাকায় হাইকোর্ট বিভাগ তাদের সাক্ষ্য বাতিল করেছিলো এবং আরেকটি কারণ হলো যে আসামীদেরকে দেখার সুযোগ থাকায় সনাক্তকরণ মহড়ায় আসামীকে সনাক্তকরণ বিষয়টি গুরুত্ব হারায়। উক্ত দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যের মূল্যায়ন করার বিষয়ে কোন নিয়ম বা পদ্ধতি ভঙ্গ না হওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা যায় না। এজন্য তৃতীয় অবস্থা যথা- নদীর তীরে অর্থাৎ যেখানে ভিকটিমের লাশ পাওয়া গিয়েছিলো সেখানে তিনজন ছেলেকে একসাথে দেখার বিষয়টি সন্তোষজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আসামী খসরু এবং তার ভাই নবাব এর অপরাধের ব্যাপারে অবস্থাগত সাক্ষ্য কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে নি। বিধায় হাইকোর্ট বিভাগ অত্র মামলার প্রেক্ষাপটে অবস্থাগত সাক্ষ্যে বিষয়ক আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করেছেন। [রাষ্ট্র বনাম খসরু @ সৈয়দ মোস্তফা হোসেন, ৪৩ ডি এল আর (এডি) ১৮২]
বৈসাদৃশ্যপূর্ণ সাক্ষ্য- ডাক্তার কর্তৃক পোস্ট মর্টেম এর মাধ্যমে প্রাপ্ত মৃত ব্যক্তির শরীরে প্রাপ্ত আঘাতের চিহ্ন এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী কর্তৃক প্রদত্ত সাক্ষ্যে আপীলকারী কর্তৃক মৃতের শরীরের আঘাতের যে বর্ণনা পাওয়া গেছে তার মধ্যে সুস্পষ্ট বৈষম্য বিদ্যমান থাকায় এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে রাষ্ট্রপক্ষ যেভাবে অভিযোগ করেছে সেভাবে কোন ঘটনা ঘটেনি। [কাদু বনাম রাষ্ট্র, ৪৩ ডি এল আর ১৬৩]
সাক্ষী পরীক্ষায় দীর্ঘ বিলম্ব-গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে পরীক্ষায় দীর্ঘ বিলম্ব বাদীপক্ষের সম্পূর্ণ মামলার উপর সন্দেহ সৃষ্টি করে। [সৈয়দ নাজাকাত হোসেন @ উজ্জ¦ল বনাম রাষ্ট্র, ৪৮ ডি এল আর ১৩৯]
স্বীকারোক্তি-ঘটনার কোন অংশকে বাদ দেয়া বা গোপন করা-এটা প্রতীয়মান হয়নি বা বাদী অথবা রাষ্টপক্ষ কর্তৃক উপস্থাপনও করা হয় নি যে কেন ঘটনার Throttling part কে বাদ দেয়া হলো বা গোপন করা হলো। এমনকি যদি এটা ধরেও নেয়া হয় যে আসামী রিনা তার জুডিসিয়াল স্বীকারোক্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনার Throttling part কে গোপন করেছিলো তার অর্থ এই নয় যে উক্ত স্বীকারোক্তি সত্য নয়। [শাহজাহান মানিক বনাম রাষ্ট্র, ৪২ ডি এল আর ৪৬৫]
সন্দেহমুক্তভাবে মামলা প্রমাণ- পক্ষগণের মধ্যে স্বীকৃত শত্রুতা এবং আগ্রহী সাক্ষীগণের সাক্ষ্য সমর্থিত না হলে এটা বলা বলা যায় না যে বাদীপক্ষ সন্দেহমুক্তভাবে তার মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। [বাবু মোল্লা এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪ বি এল সি ৫৫৯]
সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি- একজন আসামীর স্বীকারোক্তি অন্য আসামীর বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য নয়। এ ধরণের স্বীকারোক্তি তার সহযোগী আসামীর বিরুদ্ধে বিবেচনায় আনা যাবে না। এ ধরণের স্বীকারোক্তি শুধুমাত্র অন্য সাক্ষ্যের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য ব্যবহার করা যায়। কিন্তু অন্য কোন মৌলিক সাক্ষ্যের অনুপস্থিতিতে সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তির কোন গুরুত্ব নেই। [রাষ্ট্র বনাম তাজুল ইসলাম, ৪৮ ডি এল আর ৩০৫]
মৌখিক আপোষবন্টন-যেহেতু দলিলের মূল কপি দাখিল করা হয়নি এবং ফটোকপি সাক্ষ্য হিসেবে গৃহিত হয় না সে কারণে যদিও আপোষনামাটি বিচারিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়, আপোষনামাটি রেজিষ্ট্রিশেন আইনের অধীনে নিবন্ধিত নয় এবং কোন attesting witness দ্বারা এটি প্রমাণিতও করা হয়নি। কিন্তু মৌখিক বন্টনামার বিষয়টি নির্ধারণের জন্য অন্য উপাদান আছে। যেহেতু বাদীর সম্পত্তির ভোগ দখলে অসুবিধার কোন অভিযোগ না থাকায় গোপনীয়তা ভঙ্গ সম্পর্কে বাদীর যে দাবি সেটি যুক্তিযুক্ত নয়। এটা বলা যায় না যে বিবাদীর ছয়তলা বিশিষ্ট ভবন এখনো বাদীর অবিভক্ত বসত ভিটার অংশ। অধিকন্তু ১৩/১/১৯৯৮ সালে অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইনের ২৪ ধারার অধীন প্রিয়েমশন মামলার উপর আপীল বিভাগের সিদ্ধান্ত বিবাদীকে তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির দখল ধরে রাখার অধিকারকে আরো বেশি সদৃঢ় করেছে। প্রিয়েমশন মামলার মাধ্যমে সম্পত্তি ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে বাদী দ্বিতীয় প্রচেষ্টা হিসেবে বাদী বিবাদীকে তার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য অত্র মোকদ্দমা দায়ের করেছে। মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য দ্বারা এই সিদ্ধান্তে আাসা যায় যে নালিশী সম্পত্তি সহ শরীকগণের মধ্যে মৌখিকভাবে আপোষ বন্টন করা হয়েছিলো। [ডা. ইসমাত মিরজা এবং অন্যান্য বনাম মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন এবং অন্যান্য, ৭ বি এল সি ৯০]
অবস্থাগত সাক্ষ্য-৭টি অবস্থাগত সাক্ষ্য থাকলেও সেগুলি ভিকটিম সালমার মৃত্যুর সাথে কাউকে জড়িত করে না। মামলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাদীপক্ষের উপস্থাপিত মৌখিক সাক্ষ্য একটির সাথে আরেকটি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। [রাষ্ট্র বনাম মনু মিয়া এবং অন্যান্য, ৬ বি এল সি ৪০২]
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি-মোদির Medical Jurisprudence and Toxicology সহ মেডিকেল সাক্ষ্য বিবেচনা করে দেখা যায় হত্যার পূর্বে আসামীগণ কর্তৃক ভিকটিমের মৃত্যুর পূর্বে ধর্ষণ করা হয়নি এবং এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। দুইজন আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে যেটি সত্যও নয় এবং স্বেচ্ছামূলকও নয় এবং এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে দন্ড দেয়া যায় না। অধিকন্তু, উভয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি হলো Exculpatory. স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিকে সমর্থন করার জন্য অন্য কোন সাক্ষ্যও রেকর্ডে নেই। একজন সহযোগী আসামীর স্বীকারোক্তি খুবই দূর্বল প্রকৃতির সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা মোতাবেক এটি কোন সাক্ষ্য নয়। [রাষ্ট্র বনাম মোজাম @ মোজাম্মেল এবং অন্যান্য, ৯ বি এল সি ১৬৩]
শুধু সাজেশন কোন সাক্ষ্য নয়-কর্নাটক হাইকোর্ট এর দ্বৈত বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছেন যে শুধুমাত্র সাজেশন দেয়া এবং উক্ত সাজেশন অস্বীকার করা মোটেও সাক্ষ্য নয়। [পরমেশ^রী বাই বনাম মুঠোজি রাও সিনদিয়া, এ আই আর ১৯৮১ (কান্ট) ৪০, ডিবি]
সাক্ষ্য যাচাই বাচাই- সুপ্রীম কোর্ট প্রত্যক্ষ করেছেন যে আমাদের দেশে এমন কোন সাক্ষী পাওয়া দুষ্কর যিনি তার সাক্ষ্যকে অতিরঞ্জিত করেন না যদিও তার সাক্ষ্য সত্য হতে পারে। এটা আদালতের দায়িত্ব মিথ্যা থেকে সত্যকে আলাদা করা এবং সত্যকে গ্রহণ করা এবং মিথ্যাকে বাতিল করা। যদি সত্য থেকে মিথ্যা আলাদা করা সম্ভব না হয় তাহলে আদালতের উচিত তার পুরো সাক্ষ্যকে বাতিল করা। [স্টেট অব ইউপি বনাম শংকর, এ আই আর ১৯৮১ এস সি ৮৯৭]
প্রত্যক্ষ এবং অবস্থাগত সাক্ষ্য- প্রত্যক্ষ এবং অবস্থাগত সাক্ষ্যের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো যে ঘটনাটি প্রমাণ করতে হবে সেই ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীরা যখন সরাসরি তাদের জানা বিষয়ে সাক্ষ্য দেয় তখন সেই সাক্ষ্যকে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য বলা হয় এবং অবস্থাগত সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রমাণ দেয়া হয় যার থেকে আদালত অন্য ঘটনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সাক্ষী মিথ্যা বলতে পারে কিন্তু পরিস্থিতি মিথ্যা বলতে পারে না। [যাদব রাম বনাম লাক্সমান সিং, এ আই আর ১৯৭৮ অল ১২৩, ডিবি]
মৌখিক সাক্ষ্য-বিবেচনা- সুপ্রীম কোর্ট বলেন মৌখিক সাক্ষ্যকে খন্ডনের জন্য কোন সাক্ষ্য উপস্থাপন করা না হলে তার অর্থ এই নয় যে আদালত সেই সাক্ষ্য গ্রহণ করতে বাধ্য। বিচারকগণ কম্পিউটার নয়। মৌখিক সাক্ষ্যকে মূল্যায়নের জন্য বিচারকগণ তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার সাহায্য নিতে বাধ্য। ঈড়ঁৎঃ ড়ভ ভধপঃ হিসেবে আপীল আদালতের বিচারকের সুযোগ আছে তার নিকট উপস্থাপিত সাক্ষ্যকে সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে পরীক্ষা করার। [চতুর্ভূজ পান্ডে বনাম কালেক্টর, রায়গড়, এ আই আর ১৯৬৯ এস সি ২৫৫]
ইতিবাচক সাক্ষ্য- কোন মামলায় ইতিবাচক সাক্ষ্য হলো ঐসকল চাক্ষুস সাক্ষী যারা ঘটনা দেখেছিলো এবং সকল ঘটনা বর্ণনা করেছিলো। [পিয়ারা সিং বনাম স্টেট অব পাঞ্জাব, এ আই আর ১৯৭৭ এস সি ২২৭৪; ১৯৭৭ ক্রি এল যে ১৯৪১; ১৯৭৭ এস সি ক্রি আর ৪১৮]
সাক্ষীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা- সুপ্রীম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে এটাও অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একজন সাক্ষীর প্রদত্ত সাক্ষ্য উক্ত সাক্ষীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার উপর অনেক খানি নির্ভর করে এবং এটা সম্ভব যে কোন একটি ঘটনার কিছু বিষয় একজন সাক্ষী পর্যবেক্ষণ করতে পারে কিন্তু উক্ত বিষয় আরেক সাক্ষী পর্যবেক্ষণ করতে পারে যদিও তারা দুজনই ঘটনাস্থলে উপস্থিত। [বয়া গংগন্না বনাম স্টেট অব এপি, এ আই আর ১৯৭৬ এস সি ১৫৪১; ১৯৭৬ মাদ্রাজ এলজে (ক্রি) ৫০৩; ১৯৭৬ ইউজে (এসসি) ১২২; ১৯৭৬ ক্রি এলজে ১১৫৮]
সাক্ষীকে জেরা করা না হলে- যদি জেরা করা না হয় এবং কোন সাক্ষীকে জেরা না করেই ছেড়ে দেয়া হয়, এমনকি তার প্রতি কোন সাজেশনও না রাখা হয়, তাহলে যেহেতু প্রতিপক্ষ জেরা না করার মাধ্যমে উক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে বিধায় উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে। [রাষ্ট্র বনাম রাম অবতার, ১৯৮০ ক্রিএলজে এনওসি ১০০ (ডেল)]
Evidence
Evidence-when unacceptable?
When the prosecution made out a case in the Court totally different from the
F.I.R. case and the statements of the witnesses recorded under section 161
Cr.P.C. and the witnesses suppressed material evidence, the prosecution case
becomes totally unacceptable-Evidence Act, 1872 S. 155
Md. Zakir Hossain @ Jakir
Hossain and others Vs. The State, 14BLD(HCD)509
Evidence
Evidence of the Doctor and
the two nurses who attended victim Monowara in the hospital as to the request
of a stomach-wash made by persons who brought her there is admissible in
evidence as res gastae under Sections 6 and 7 of the Evidence Act as an
exception to the rule of hearsay evidence. Evidence Act, 1872(1 of 1872) Ss. 6
and 7. The State Vs. Yahiya alias Thandu and others, 16BLD(HCD)526
Evidence
Misreading of
Evidence-Making out new cases
The trial court as well as
the appellate court misread the material evidence on record and committed
illegality in making out new cases-Order of conviction set aside. Driver Md.
Hasan Ali Howlader Vs. The State, 14BLD(HCD)80
Evidence
Re-assessment of
evidence-When not permissible
In the absence of any
misreading or non- consideration of any material evidence by the Courts
below, the Appellate Division refuses to re-assess the evidence afresh. Bellal
and another Vs. The State, 14BLD(AD)163
False evidence
It appeared to the Sessions
Judge that the petitioner was deposing falsely by suppressing certain material
facts and as such the complaint was made to the Magistrate for taking
appropriate action against him. The Magistrate took cognizance. The matter for
investigation is whether the accused-petitioner deposed falsely or not before
the Court. The matter will be decided on merit and as such the question of
previous false statement on record is wholly irrelevant-Cr.P.C, S. 561A, Penal
Code, S. 193
Mawlana Abdul Hoque Vs. Md. Shakhwat Hossain and another, 19BLD (AD) 290
Legal Evidence
Legal evidence is that evidence which is adduced by a witness before the court at the time of trial and not the statement made in the first information report. Al Amin Vs. The State, 198LD (HCD) 307
Legal evidence
Mere placing no reliance
upon confessional statement of the accused and non- examination of the
Magistrate who held T.L Parade are no ground for acquittal where the order of
conviction is based on other sufficient and reliable legal evidence. Md. Abdul
Hashem Vs. The State, 20 BLD(AD)102
No evidence
The term 'no evidence' is
not only confined to dearth of evidence but also it extends to a case where the
evidence is reasonably incapable of supporting a finding.
Sohail Ahmed Chowdhury Vs.
The State, 15BLD(HCD) 452 Ref: A.I.R. 1987 page 1621; 45 DLR (AD)175; 40
DLR(1988) 348; 12 DLR page 220; A.I.R 1959 (Allahabad) 559; A.I.R. 1951
(Allahabad) 441-Cited
এটি সুস্পষ্টভাবে মীমাংসিত যে আসামি পক্ষ কর্তৃক প্রসিকিউশনের সাক্ষীদেরকে দেওয়া সাজেশনের ভিত্তিতে প্রসিকিউশনের মামলা প্রমাণ হতে পারে না। আদালত প্রসিকিউশনের পক্ষে যায় এমন সাজেশন গ্রহণ এবং সাজেশনের মূল উদ্দেশ্যকে উপেক্ষা করতে পারে না। নিবাবুল আলম বনাম রাষ্ট্র, ৪৫ ডিএলআর (এডি) (১৯৯৩) ১৪০
Evidence Matter:- Circumstances evidence
If motive is a circumstance put forward in a criminal case, it must like any other incriminating circumstance be fully established. The prosecution has totally failed to prove the motive. Therefore, it failed to establish any additional support to the complicity of the appellants in the killing of the victim. The absence of motive is also a circumstance which is relevant for assessing the evidence. The motive has not been established. .....M.A.Kader VS The State, [4 LM (AD) 408]
Evidence Matter:- Circumstantial evidence No hard and fast rule can be laid to say that particular circumstances are conclusive to establish guilt- The rule of circumstantial evidence is that the chain of circumstances must be knitted together closely so as to lead to the irresistible conclusion that the accused committed the offence. The chain of circumstances must be such that it would exclude all possibilities of the innocence of the accused. The Court must examine whether inference from the totality of circumstances preclude the accused of being innocent. If there is any plausible story about the non- involvement of the accused, he cannot be convicted merely on the basis of circumstantial evidence. In order to sustain conviction, circumstantial evidence must be complete and incapable of explanation on any other hypothesis than that of the guilt of the accused.... Sheikh Zahid =VS= The State, [10 LM (AD) 705]
Evidence Matter:- Evidence-
Discrepency always occurs even in the evidence of the truthful witnesses- The learned Counsel has contended that these contradictory statements of these P.Ws. reasonably make these witnesses untrustworthy. But we are unable to accept this argument of the learned Counsel in this present case. Considering the very facts and circumstances of this case we rather, are of the view that it was very much natural on the part of the witnesses to make discrepent statements regarding colour of the wearing clothes and the weapons of the assaillants and that these discrepent or contradictory statements of the P.Ws. are so trifling in nature that these cannot raise any suspecion about the truthfulness of the witness or about the occurrence they narrated. The learned Counsel for the accused-respondents has pointed out some other alleged minor discrepent or contradictory statements also in the evidence of the prosecution withnesses, but we do not find any of these alleged discrepent or contradictory statemetns of the prosecution witnesses fatal at all to raise any suspicion about the truthfulness of these witnesss. Discrepency always occurs even in the evidence of the truthful witnesses. It is also settled that one part of evidence of a witness even if is rejected the other part of the evidence of the same witness may be accepted.... (Nazmun Ara Sultana, J). .....State VS Dafader Marfoth Ali Shah & ors, [4 LM (AD) 430]
Evidence Matter:- Admission of Digital or Electronic Evidence- In respect of admission of Digital or Electronic Evidence, the party seeking to admit any statement or admission of any person recorded in a compact disk (C.D.) or video- cassette or any interview conducted by any television channel relating to a relevant fact or fact in issue must produce the original compact disk or video-cassette or the programme published in the television channel. The producer of the programme must certify their authenticity in the contents stating the date and place of recording of the programme. The certificate must be signed by the producer of the programme and his signature has to be proved. (Per S. K. Sinha, J) ...Major Md. Bazlul Huda(Artillery) =VS The State (Banga Bandhu Murder Case), [9 LM (AD) 386]
Evidence Matter:- Assessment of evidence is that the entire evidence- The cardinal principle of assessment of evidence is that the entire evidence is to be considered as a whole and then a decision is to be arrived. There is no scope to consider one statement made in cross- examination in isolation. (Majority view), (Per Mr. Justice Syed Mahmud Hossain, CJ)....A.T.M. Azharul Islam -VS- Chief Prosecutor, ICT, Bangladesh, [9 LM (AD) 593]
Evidence Matter: Hearsay evidence under US Law- Under US Federal Rules of Evidence, statements which would ordinarily be inadmissible under the hearsay rules, will nonetheless be admissible if they fall within a defined exception. Clause 804 of the Federal Rules, which is similar to Rule 89(c) of the ICTY, ICTR Rules, confers wide power upon the Federal Courts to determine issues of admissibility. In Handi -v-Rumsfeld the US Supreme Court indicated that hearsay evidence may be permissible in cases involving enemy combatants, expressing; "Hearsay, for example, may need to be accepted as the most reliable available evidence from the government in such a proceeding. Likewise, the Constitution would not be offended by a presumption in favour of the government's evidence, so long as that presumption remains rebuttable one and fair opportunity for rebuttal were provided".
Professor David Weissbrodt's remark on application of hearsay evidence by international crimes tribunals are, as below; "International Courts usually admit hearsay evidence. The hearsay rule is characteristic of common law systems. In civil law systems, where there is no jury and the Judge conducts the fact finding process, out of Court statements are usually admitted when relevant. International Criminal Courts have borrowed their rules of evidence from both common law and Civil law system, but usually favour admissibility of all evidence". (Para-732); Allama Delwar Hossain Sayedee -VS- Government of Bangladesh, [2 LM (AD) 76]
Evidence Matter:- Some minor contradiction or inconsistency in evidence cannot affect the material evidence- It is a well settled principle of criminal law that some minor contradiction or inconsistency in evidence cannot affect the material evidence and such contradiction or inconsistency cannot be made basis to discard the whole evidence as unreliable. It is much more so when the two Courts below took note of the said evidence and discarded it being wholly immaterial. We find no merit in the appeal. The appeal thus fails and is accordingly dismissed. Gorusu Nagaraju =VS= State of Andhra Pradesh, [4 LM (SC) 113]
East Pakistan Razakars Ordinance 1971 Section 8 Creation of Razakars- Facts, as are not in dispute, are that with a view to suppress and annihilate the aspiration of the people of the then East Pakistan under the leadership of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, to achieve independence from Pakistani colonial yoke, the Pakistani occupying authorities set up, through an ordinance, initially a para-militia outfit, naming the same, "Razakars", by inducting into it those people, who were not, numerically, of large number, who were opposed to the idea of a State for the people of the then East Pakistan. While most of them were from the political party named, "Jamate Islami", people from other pro-Pakistani parties, such as Nezami Islami, Mulsim League also supplied men to Razakar outfits.
Although they were not merged with traditional armed forces, they were equipped with fire arms and maronated with crush training courses. The ordinance that animated the said para militia, was titled, "East Pakistan Razakars Ordinance 1971, the preamble of which vested it with virtually para militia status by stating, "to provide for Constitution of a voluntary force in East Pakistan".
The outfit was to be headed by a Director, under whom several officers and staff were to be appointed by the Government to assist the Director in the performance of his functions. (Section 8 of the Ordinance).
The Director and other officers were appointed under the Ordinance to "exercise such powers and perform such duties as (may be) prescribed by the provincial Government".
At its inception it was placed under the Peace Committees of the respective areas.
Although no Ordinance or legislation was mooted to set up two more para-military outfits, namely, Al-Badar and Al-Shams, they were also de facto brought under the Ordinance. In September, by another Ordinance, the Razakars were glorified with the status of armed forces personnel.
Even though the Ordinance created one post of Director for the whole of the occupied "Bangladesh", there were other officers and staff under him. So, from the hierarchical point of view, the Director was the ultimate and the top brass, for the whole of occupied Bangladesh de jure. But the evidence prove that there were subsuperiors under him as, naturally, it was not possible for only one Chief Commander to perform command duties for the whole of the occupied territory. As the Ordinance created posts for "Officers" also under the sole Director, it would, in the natural way, follow that these officers had de jure or at least defacto duty to act as regional superiors.
The fact that the Ordinance created one post of Director for the entire occupied territory and then officers under him, and also staff allover, coupled with the fact that the above mentioned prosecution witnesses found the appellant to be in the leading chair, such an inference that the latter was in fact de jure head of the two outfits in the district concerned faces no stumbling block whatsoever.
If witnesses testify that a given person headed the local unit of the outfits, in the backdrop of the fact that the Ordinance created posts of officers under one solitary Director, then there is no need to establish by any document or any evidence that the given person was so appointed. As stated above, the ICTY and ICTR held that no evidence of formal appointment designation is needed. or
It is worth mentioning that in our part of the world, the term officer bears a special significance in that this attribution only applies a person with superior status, i.e. a white colour personnel with a lot of clout. This legacy from the colonial era, when the British Roy applied their dominance over their subjugated Indian subjects through privileged "civil servants" known as "officers" still subsists. In the context of the culture that prevails in this sub- continent, no low level functionary is ornamented with this term. I do also take special notice of the fact that our section 4(2), in variance with Articles 6(3) and 7(3), did not restrict the liability to commanders only but also extend the same to "superior officers" as well. Inclusion of "superior officers" has particular significance because the Ordinance created posts of officers as well. As the Ordinance created no post of superior officers, the legislators must have meant all officers to be superiors because the ordinance created officers only, not superior officers and the staff, who were below the officers. In any event, testimony of these two prosecution witnesses leave no doubt whatsoever that the appellant was at least the de facto commander of the units concerned in the area, if not a de jure one.
It has been quite categorically affirmed by the SCSL Appeal Chamber in Brima, supra, ICTR in Semenza, and Kajchjcli, supra, ICTY in Delalic, supra that for the purpose of implicating a person for his responsibility as a commander over his subordinates, a de facto commandership will suffice.
This finding on law by the ICTY is, in my view, in wholesome consonance with the language in Section 4(2) of the Act, reproduced above and as far as the factual position is concerned, overwhelming weight of evidence prove beyond any shadow of doubt that the appellant in any event, was defacto commander, if not dejure.
As a matter of fact my learned brother S.K. Sinha, J. himself accepts that "All these witnesses practically depicted correct status of the accused" and that "As per law then prevailing, he performed his responsibilities as Razakars leader or officer". My learned brother also accepts that "The evidence on record revealed that he was the commander of Al-Badre force in larger Mymensingh".
He also states, "But in fact he performed the responsibility as a superior commander. This was abuse of the powers as he was in the good book of the military Junta. He was allowed to work according to his volition".
My learned brother also states, "But as per law he was appointed and/or worked and/or performed as commander to assist the Director of the Razakars forces".
With respect; I am to express that having accepted all these, it would a contradiction in terms to conclude that the appellant cannot be brought under the canopy of superior responsibility. Acceptance that, (with which I totally agree), "But as per law he was appointed and/or worked and/or performed as Commander to assist the Director of the Razakar Forces", is in my view, tantamount to accepting that the appellant was actually de jure sub-commander under the supreme commander and hence, saying that he had no command over his subordinates would be self contradictory.
Accepting that, (with which also I cannot disagree), "But in fact he performed the responsibility as a superior commander. This was abuse of the powers as he was in the good book of the military Junta", in my view definitely means accepting that he was a de facto commander as he was so allowed by the Junta.
If he was really allowed by the Junta, being in their good book, to perform as a superior commander with the blessings of the Junta, then he must be deemed to have been a de facto commander, even if he had done so by abusing his powers.
De facto, connotes factual position, no matter whether that was by abuse of power or not.
I would also rely on the ICTY decision in Aleksovski and SCSL decision in Brima where it has been held that command responsibility may be shared by other members in a situation of collegiate responsibility and that superior responsibility is not excluded by concurrent responsibility of other superiors in a chain of command.
In finding that the appellant did not have command responsibility my learned brother relied on "(b)" of the Gazette notification of 7th September 1971, which provides, "the officers of Pakistan Army under whose command any member of the Razakars is placed shall exercise the same powers in relation to that member as he is authorised to exercise under the same Act in relation to a member of the Pakistan Army placed under his command".
True it is that the members of the Razakars were placed under the command of Pakistan Army officers by 7th September notification, but it is equally true that, as Mr. Muntasir Mamun, a distinguished historian, stated in "Banglapidia", the 7th September amendment also bestowed on , Razakars the status of army personnel, and those who under the Razakars Ordinance were appointed as "Officers" of Razakars, under the 7th September notification assumed the status of army officers.
So, the situation since 7th September was such that a Razakar officer was of course placed under a Pak Army Officer's Command. But to say that the Razakr officers were thereby stripped of command responsibility from over his subordinate Razakar staff, would be, in my view, erroneous, because within the Pakistan army structure, where four kind of personnel exists, namely (1) Commissioned Officers, (2) Junior Commissioned Officers, (3) Non-Commissioned Officers, (4) Jawans or Seppys, even a non- Commissioned Officer exercises command over the sepoys under his command even though such a Junior Commissioned or a Non-Commissioned Officer himself remains subject to the command of a Commissioned Officer. A chain of command is thereby formed from top to the bottom, consisting intermediate commanders between the highest and the lowest in the chain.
The chain of command, be it in the army, police or in civilian situation, is such that an officer, who commands his subordinates is also subject to command by his superior. That is why it is called chain of command: a Command in succession from the top to the lowest ladder of officerdom.
As such, it can not, in my view be said that since the appellant himself was under command of an army officer, he could not command his subordinates:
The finding on collegiate responsibility, as enunciated in Brima, supra, goes hands in gloves with this factuality where chain of command exists.
So, if it is accepted, as my learned brother also has done, that the appellant was a Razakar officer (officer carrying a white colour clout), rather than a Razakar staff, that would naturally follow that the appellant also had command responsibility over Razakar staff under him in the then region, Greater Mymensingh notwithstanding that he himself was subject to the command of a Pak Army Officer.
The Tribunal below, was, as such, in my view, in the right track in finding the appellant guilty for superior responsibility as well under section 4(2) of the Act, as there are overwhelming evidence to show that he acquiesced with the offences his subordinates committed and/or failed or omitted to discharge his duty to control or supervise the action of the persons under his command or his subordinates whereby such persons or subordinates or any of them committed such crimes, or failed to take necessary measures to prevent the commission of such crimes. (A. H. M. Shamsuddin Choudhury, J) ... Muhammad Kamaruzzaman =VS= The Chief Prosecutor, ICT, Dhaka, [7 LM (AD) 375]
ncumbit probatio qui decit, non qui negat means:- The burden of proving a fact rests on the party who substantially asserts the affirmative of the issue and not upon the party who denies it; for a negative is usually incapable of proof. The Appellate Division held that the strong admission being corroborated by documentary evidence, it can be inferred beyond reasonable doubt that the accused was present in Chittagong during the relevant time of occurrences and hence, the plea of alibi taken by the defence is concocted, false and not believable. Since the defence admitted the presence of accused at the crime sites, the prosecution has been able to prove as to whether the accused was involved in those incidents. (Para-127); .....Salauddin Quader Chowdhury VS The Chief Prosecutor, ICT, Dhaka, [2 LM (AD) 511] Meticulous examination- The Appellate Division opined that the High Court Division, on thorough and meticulous examination and consideration of the evidence on record and also other facts and circumstances rightly acquitted both the accused-respondents by the impugned judgment and order. In the circumstances this criminal petition for leave to appeal be dismissed. The State =VS= Asif Khan Riyad & another, [1 LM (AD) 534]