যখন বিবাদী ইজারার মামলায় বাদীর পক্ষে প্রদত্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল করে তখন ডিক্রীর অর্থের উপর অত্র অনুচ্ছেদের অধীনে কোর্ট ফীস্ প্রদানযোগ্য হবে [AIR 1927 Sind. 251; 23 Sind. LR 277 (DB)] 1
মূল্যমান অনুসারে এড-ভোলারেম কোর্ট ফীস্ প্রদানযোগ্য হবে AIR 1928 Nag 146; AIR 1947 Pat. 113; AIR 1915 Oudh. 121 (DB)] 1 চুড়ান্ত ডিক্রীর প্রার্থনা করে দরখাস্ত প্রত্যাহারের রিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে এড ভোলারেম কোর্ট ফীস প্রদানযোগ্য হবে [AIR 1920 All 145 (DB) 12 Cal.
টাকা আদায়ের মামলায় মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস্ প্রদান করতে হয়। প্রতিনিধি কর্তৃক মালিকের নিকট হতে টাকা আদায়ের কিংবা পাওনাদার কর্তৃক দেনাদারের নিকট হতে টাকা আদায়ের মামলায় মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী প্রদান করতে হয় [AIR 1946 Mad. 136]।
ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলায় বাদীকে অবশ্যই আরজিতে বর্ণিত মূল্যমানের উপর মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী প্রদান করতে হবে। বাদী সাধারণভাবে ক্ষতির পরিমাণ বললে হবে না, তাকে নির্দিষ্টভাবে টাকার অংক উল্লেখ করতে হবে [AIR 1957, Raj. 39]। প্রকৃত দাবীকৃত টাকার উপর কোর্ট ফী দিতে হবে। এ জন্য আরজিতে বর্ণিত
মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সংঘটিত অনিষ্ট বা ক্ষতির জন্য কোন কোর্ট ফীস। প্রদান করতে হবে না [AIR 1935 Pat. 160] মামলার বিচার চলাকালীন মুনাফা (Mense Profit) আদায়ের মামলাও
ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলার মত |AIR 1937 Mad. 46]।
বকেয়া বা ভবিষ্যৎ যে কোন সময়ের অন্তর্বর্তীকালীন মুনাফার মামলায় নির্দিষ্ট টাকার ডিক্রী দেওয়া হোক না কেন, আপীলকারীকে আপীলের বিষয়বস্তুর উপর কোর্ট ফীস দিতে হবে (AIR 1959 (AP) [6]
অন্তর্বর্তীকালীন মুনাফা আদায়ের মামলা খারিজের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে, যে পরিমাণ টাকা দাবী করে মামলা করা হইয়াছিল ঐ টাকার উপরই আপীলে কোর্ট ফীস্ দিতে হবে (AIR 1917 Pat. 79]।
যেখানে বাদীর প্রাপ্য অন্তর্বর্তীকালীন মুনাফা সম্পর্কে প্রাথমিক ডিক্রী দ্বারা নির্ধারণ
দাবীকৃত অর্থের উপর কোর্ট ফীস্ দিতে হবে [AIR 1931 All 538]। প্রাথমিক ডিক্রীর বিরুদ্ধে কোন বিবাদী আপীল করতে চাহিলে আরজিতে বর্ণিত মূল্যমানের উপর কোর্ট ফীস্ দিতে হবে [AIR 1933 Pat. 81 ]।
যেখানে বাদী চূড়ান্ত ডিক্রীতে বর্ণিত টাকা অপেক্ষা আরও বেশী টাকা দাবী করে।
আপীল করতে চায়, যেখানে ঐ ডিক্রী অপেক্ষা অতিরিক্ত দাবীকৃত টাকার উপরও কোর্ট ফীস দিতে হবে [AIR 1954 Pat. 447]। ধারা-৭ (ii) ঃ ভরণ-পোষণ ও বার্ষিক বৃত্তি-কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (ii) ধারার বিধান মতে ভবিষ্যতে প্রাপ্য হবে এমন ভরণ-পোষণ এবং বার্ষিক বৃত্তির অধিকার সম্পর্কে ঘোষণা চাওয়া যায়। পক্ষান্তরে বকেয়া ভরণ-পোষণ এবং বার্ষিক বৃত্তি আদায়ের
জন্য ৭ (I) ধারা অনুযায়ী মামলা করা যায় [AIR 1853 All 442]। নির্দিষ্ট সময় পর পর বাদী বিবাদীর নিকট হতে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা পাবে এ ঘোষণার ক্ষেত্রে ৭ (11) ধারা অনুযায়ী কোর্ট ফীস দিতে হবে [AIR 1934 Lah. 150)
বাদী এবং তার ভবিষ্যৎ বংশধরগণ পুরুষানুক্রমে মাসিক ভিত্তিতে বিবাদী ও তার
ওয়ারিশগণের নিকট হতে অর্থ পাইতে হকদার এ মর্মে প্রতিকার চাওয়া হলে তাও
বর্তমান ধারার এ দফার আওতায় আসবে [AIR 1920 All 40]
“নির্দিষ্ট সময় অস্তে অন্যান্য প্রকার প্রদেয় অর্থ” বলতে ৭ (II) ধারায় বর্ণিত খোরপোষ বা বার্ষিক বৃত্তি এ ধরনেরই হতে হবে [AIR 1934 Cal. 674] | ধারা-৭ (iii) : বাজার মূল্য রহিয়াছে এমন অস্থাবর সম্পত্তি : বাজারমূল্য রহিয়াছে এমন অস্থাবর সম্পত্তির মামলা ধারা ৭ (iii) ধারা পরিচালিত হয়। এড
ভোলারেম কোর্ট এক্ষেত্রে প্রদানযোগ্য হবে | 41 DLR 144]।
অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে বাধ্যকারী নিষেধাজ্ঞার জন্য মামলায় কোর্ট ফীস প্রদানযোগ্য। কোর্ট ফীস্ এর উদ্দেশ্যে মামলার প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য আদালতের উচিত মামলার মূল প্রতিপাদ্য খুঁজে বের করার জন্য মামলার গঠনের প্রতি লক্ষ্য। দেওয়া। যেখানে মামলার প্রকৃত গঠন ঘোষণামূলক প্রকৃতির নয় বরং কোন বাস্তব বা ফলদায়ক প্রতিকার পাওয়া সেক্ষেত্রে বাদীকে অবশ্যই এড-ভোলারেম কোর্ট ফীস প্রদান করতে হবে। আরজী এবং বিবাদীর লিখিত বিবৃতি পাঠ করে দেখা যায় যে মামলাটি শুধুমাত্র অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য অথবা বাজার মূল্য নাই এমন অস্থাবর সম্পত্তির জন্য দায়ের করা হয়নি, বরং মামলাটির বিষয়বস্তু থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উহা একটি লঞ্চ পুনরুদ্ধারের মামলা যার বাজার মূল্য আছে এবং এক্ষেত্রে কোর্ট ফীস অবশ্যই তদানুসারে প্রদান করা উচিত 9 BLD (HCD) 394; 41 DLR 144; 29 DLR 56; 26 DLR 82; 22 DLR 646; 11 DLR 57; AIR 1954 (MB) 6; AIR 1952 (MB) 196; AIR 1949 Nag. 368] 1
কোন রাষ্ট্রীয় লটারীর টিকিট যাহা পুরস্কার প্রাপ্ত হইয়াছে উহা বাজার মূল্য আছে এমন অস্থাবর সম্পত্তির পর্যায়ভুক্ত এবং যে পরিমাণ পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে উহাই হবে উক্ত সম্পত্তির বাজারমূল্য এবং এক্ষেত্রে ইহা ৭ (iii) ধারার আওতায় আসবে | 1949 Bur. LR (HC) 358 (FB)]।
কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iii) ধারা কেবল অস্থাবর সম্পত্তির মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইহা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নহে। ভূমিতে সংযুক্ত ফসলও স্থাবর সম্পত্তি এবং নির্মিত ঘরও স্থাবর সম্পত্তি বলে গণ্য হবে। বাজার মূল্য বলতে মামলা রুজুকালীন মামলার বিষয়বস্তুর যে বাজার মূল্য রয়েছে তাই বুঝায় [AIR 1924 Mad. 1911
ধারা-৭ (iv) ঃ বাজার মূল্য রয়েছে এমন অস্থাবর সম্পত্তি ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুসারে সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে এবং রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। ঘোষণার মামলা দায়ের করা হয়েছে এ মর্মে যে, রিসিভার কর্তৃক দখল গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বাদী সম্পত্তির দখলে ছিল এবং সে দখল ফেরত পাওয়ার অধিকারী। রিসিভার কর্তৃক দখলে থাকা প্রকৃত মালিক কর্তৃক দখলে থাকার সমতুল্য। এড ভোলারেম কোর্ট ফীস প্রদানের প্রয়োজন নাই [ 2 BLD (AD) 97]।
যেখানে মামলার বিষয়বস্তুর বাজার মূল্য নির্ধারণ করার জন্য কোন বাস্তবিক মানদন্ড আছে, মামলাটি অবশ্যই বাজার মূল্য অনুসারে মূল্যায়িত হবে। আদালত ৪৮ (গ) ধারা অনুসারে মূল্যমান নির্ধারণের জন্য অনুসন্ধান করতে পারে। যখন কোন মামলায় স্বত্ত্বের ঘোষণা এবং দখল পুনরুদ্ধার বা স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মতো আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনা করা হয় তখন কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) ধারার অধীনে এড ভোলারেম কোর্ট ফীস্ প্রদান করার প্রয়োজনীয়তা আছে |8 BLD (HCD) 60: 22 DLR 646; 13 DLR 710; PLD 1963 Dac. 115: 1927 Lah. 890; PLD 1924 Pesh. 4; 1933 Lah. 246; 38 CWN 589 (FB); AIR 1920 Cal. 205; AIR 1935 Mad. 346; AIR 1948 Cal. 200; AIR 1922 Cal. 506; 41 CLJ 1330]
স্বত্ত্বের ঘোষণা এবং আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে বাটোয়ারার দাবীতে মামলার ৭ (iv) (গ) ধারার অধীনে এড ভোলারেস কোর্ট ফীস্ প্রদানযোগ্য | 1MLR 1996
(HC] 67] দলিল বাতিলের মামলায় এড-ভোলারেম কোর্ট ফীস্ প্রদান করতে হবে [39 DLR
(AD) 46] ।
স্বত্ত্বের ঘোষণা এবং সেই সঙ্গে আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করে মামলায় এড-ভোলারেম কোর্ট ফীস্ অবশ্যই প্রদান করতে হবে [19 DLR (HC) [221] ।
দলিল বাতিল এবং নাকচ করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু
বাদীকে অবশ্যই আনুষঙ্গিক প্রতিকারের জন্য কোর্ট ফীস নিতে হবে। যদি সে এরূপ প্রতিকার প্রার্থনা করে, যদিও সেই দলিল বাতিল করার জন্য প্রার্থনার প্রয়োজন নাই, তথাপি কোর্ট ফী দিতে হবে [6 BCR (AD) 404 21 DLR 626: AIR 1932 All 485] 1
বাদী কর্তৃক মামলার মূল্যমান নির্ধারণের ক্ষেত্রে আদালতকে অবশ্যই মামলার বিষয়বস্তু খোঁজার জন্য উহার গঠন লক্ষ্য করতে হবে এবং মামলার প্রকৃতি নির্ধারণ করতে হবে [41 DLR 144] কোর্ট ফীস-এর উদ্দেশ্যে মামলার প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য আদালতকে মামলার
গঠন অপেক্ষা উহার বিষয়বস্তুর প্রতি লক্ষ্য দিতে হবে [11 DLR 57]।
চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিকারসহ ঘোষণামূলক প্রতিকারের মামলা করা হইয়া থাকলে মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী প্রদান করতে হবে [19 DLR 221]। আরজীতে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর আলোকে কোর্ট ফীস প্রদেয় হবে [18 DLR 605)
কোন দলিল বাতিল ও অকার্যকরী বলে ঘোষণার প্রতিকার চেয়ে মামলা করা হলে উহাকে দলিল রদ-এর মামলা বলা যায় না। উহা বাস্তবধর্মী প্রতিকারের মামলা নহে |17 DLR 119; PLD 1965 (Dhaka) 439]।
আদালতের উপর প্রতারণার আশ্রয়ে ডিক্রী হাসিল করা হয়েছে বিধায় উহা রদ করার ঘোষণা চাওয়া হয়ে থাকলে উহাকে আনুষঙ্গিক প্রতিকারসহ ঘোষণামূলক প্রতিকারের মামলা বলা যায় (16 DLR (WP) 205] 1
বাদীর নালিশী সম্পত্তির দখলে থাকার ওজর মিথ্যা প্রমাণিত হলে আরজি প্রত্যাখ্যান করা যাবে ( 27 DLR 55] 1
ওয়াক্ফ দলিল বাতিল বলে ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। বাদী ঐ দলিলে পক্ষ ছিলেন না, তাই আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে দলিল রদ করার প্রার্থনা ছাড়াই মামলা চলবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফীস দিলেই চলবে 21 DLR 468)
বাটোয়ারা এবং দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলায় বাদীকে সম্পত্তিতে তার অংশের মূল্য অনুসারে কোর্ট ফী প্রদান করতে হবে কিন্তু যদি স্বত্ত্ব ঘোষণা এবং বাটোয়ারার জন্য মামলা করা হয় তাহলে বাটোয়ারার জন্য তার অংশের মূল্যের উপর এডভোলারেম কোর্ট ফীস্ এবং আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে স্বত্ত্ব ঘোষণার জন্য তার অংশের মূল্যের উপর এডভোলারেম কোর্ট ফীস প্রদান করতে হবে [49 DLR 92]।
যখন বাদী বর্ণনা করে যে, সে দখলে আছে তখন শুধুমাত্র বাটোয়ারার মামলার জন্য নির্ধারিত কোর্ট ফীস্ প্রদান করতে হবে। কিন্তু যদি বাটোয়ারা এবং দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা করা হয় তখন বাদীকে তার অংশের মূল্যের অনুপাতে কোর্ট ফীস্ প্রদান করতে হবে [49 DLR 405] ।
কোন মামলায় বাদীর প্রদত্ত মূল্যমান কম দেখানো হয়েছে মর্মে অভিযোগ করা হয়। তখন আদালত ৮গ ধারা মতে মামলার মূল্যমান পরীক্ষা এবং পুনঃনির্ধারণ করতে পারে। [22 DLR 646] 1
কোন মামলায় যদি স্বত্ত্বের ঘোষণা এবং চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়, তাহলে
আদালত মামলার মূল্যমান যেরূপ নির্ধারণ করবে উহা অনুসারে কোর্ট ফীস প্রদান
করতে হবে, বাদী কর্তৃক প্রদত্ত মামলার মূল্যমান গ্রহণযোগ্য হবে না [40 DLR
292) |
বাদীর মূল প্রতিকার ছিল যে, নালিশী জমি সরকার কর্তৃক শত্রু সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করা এখতিয়ার বহির্ভূত। তাই উহার কোন যুক্তিযুক্ত মূল্যমান নাই। সে কারণে বাদীর মূল্যমান গ্রহণ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞার প্রতিকারকে আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে গণ্য করতে হবে [30 DLR 116 ] ।
মামলার মূল্যমান ও কোর্ট ফীস্ আরজিতে বর্ণিত বক্তব্যের আলোকে নির্ধারণ করতে হবে, বিবাদীর লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে নয় [ 28 DLR 392] । মামলা দায়ের করার পর বাদী নালিশী ভূমি হতে বেদখল হয়, এ অবস্থা কোর্ট
ফীস-এর ব্যাপারে মামলার গঠনে কোন প্রভাব ফেলবে না [28 DLR 392]।
চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং ঘোষণার জন্য মামলা দায়ের করে বাদী বর্ণনা করে যে
সে দখলে আছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিকার হিসাবে নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে ৭ (iv)
(গ) ধারার অধীনে মামলার মূল্যমান নির্ধারণ করে মামলাটি রক্ষণীয়। যদি বিচারের
সময় দেখা যায় যে বাদী দখলে নাই, তখন মামলাটি দখল পুনরুদ্ধারের জন্য জমির
মূল্যানুপাতে কোর্ট ফীস্ প্রদান না করার কারণে ব্যর্থ হবে [28 DLR 362]
যেখানে প্রার্থিত প্রতিকারের কোন যুক্তিযুক্ত মূল্যমান নির্ধারিত নাই এবং বাদী আনুসাঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করিয়াছে, এরূপ ক্ষেত্রে বাদী প্রতিকারের মূল্য কত টাকা ধার্য করতে চায় তা ব্যক্ত করতে হবে [29 DLR 5611
কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) (গ) ধারার আওতায় মামলাসমূহের মূল্যমান য মনগড়া এবং অযৌক্তিক হোক না কেন, আদালত মূল্যমান পরিবর্তনের আদেশ দিতে পারে না 26 DLR 82 ]।
৭ (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী বাদীর গঠিত দাবীর উপর কোর্ট ফীস দিতে হবে। যেখানে প্রতীয়মান হয় যে, বাদীর মামলা প্রকৃতপক্ষে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনাসহ ঘোষণামূলক মামলা বলে মনে হয় না, কিন্তু কার্যত বাদী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার প্রার্থনা করেছে, এরূপ ক্ষেত্রে বাদীকে অবশ্যই মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস নিতে হবে। টাকা আদায় করার বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হলে, ঐ টাকা আনায় নেওয়া হলে যে পরিমাণ ক্ষতি সাধিত হতো সেটাই মামলার মূল্যমান হবে। যেখানে কোন কার্যকরী
মূল্যমান নির্ধারিত থাকে না, যেখানে বাদী তার ইচ্ছা মাফিক মূল্যমান নির্ধারণ করতে পারে। কোর্ট ফীস্ আদায়ের উদ্দেশ্যে আদালত মামলার প্রকৃতির উপর গুরুত্ব না দিয়ে মামলার মূল্যমান বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন। ডিক্রী রদ রহিত করার প্রতিকারটিকে সাবস্ট্যানটিভ প্রতিকার বলা যায় [11] DLR 57]। মামলার মূল্যমান বাদীর ইচ্ছাধীন বিবেচনার উপর নির্ভর করবে [ 6 DLR 466]। আনুষঙ্গিক প্রতিকার বলতে কোর্ট ফীস্ আইনের আওতায় প্রার্থিত ঘোষণামূলক
প্রতিকারের সহিত তাৎক্ষণিক বস্তুগত প্রতিকার হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ কোন ফায়দা
চাওয়াকে বুঝায় যা ঘোষণার সহিত সংযুক্ত 16 DLR 289 )
. যদি কোন দলিল রদ করা বাদীর কর্তব্য হয় বা বাদীর উপর বাধ্যকর হয়, উক্ত মামলার আরজি আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনাসহ আরজি বলে গণ্য হবে, অন্যদিকে যদি দলিলটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া বাদীর জন্য বাধ্য না হয়, তাহলে আরজিটি একটি সাধারণ ঘোষণামূলক ডিক্রীর জন্য গণ্য হবে [21 DLR 507 ]।
একটি মামলায় নালিশী সংক্রান্ত দলিল প্রথম হতেই বাতিল এবং বিবাদী উক্ত সম্পত্তিতে স্বার্থ অর্জন করে নাই মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রী প্রার্থনা করা হয়। বাদী আরও ঘোষণা প্রার্থনা করে যে, ঐ দলিলটি বিনাপণে জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ মামলায় সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রার্থনাসমূহ একান্তই ঘোষণামূলক প্রকৃতির বিধায় কোর্ট ফিস আইনের ৭ (iii) ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত কোর্ট ফীস দিলেই চলবে [17 DLR 119]
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী কোন সম্পত্তি বা অন্য কোন বিষয়ে আইনানুগ মর্যাদা বা অধিকার থাকা সম্পর্কে ঘোষণামূলক প্রতিকার চাইতে পারে, তবে সেখানে ঘোষণা ব্যতীত অন্য কোন প্রকার প্রতিকার পাবে না। অন্য কোন প্রতিকার প্রয়োজন হলে তাও একই সাথে প্রার্থনা করতে হবে [10 DLR 431; AIR 1960 All 254; PLD 1959 (Dhaka) 5]।
ঘোষণামূলক প্রতিকারের সাথে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হলে উহাকে আনুষঙ্গিক প্রতিকার বলা যায়। যেহেতু ঘোষণামূলক প্রতিকারকেই নিষেধাজ্ঞার প্রতিকার অনুসরণ করছে। কোন মামলা কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) ধারার অন্তর্ভুক্ত কিনা তা নির্ধারণের জন্য দেখতে হবে কি ধরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে 8 DLR 100 ||
কোন মামলায় প্রতারণামূলকভাবে একতরফা ডিক্রী হাসিল করা হয়েছে। উহা প্রতারণামূলক এবং বাদীর উপর বাধ্যকর নয় মর্মে ঘোষণার মামলাটি ডিক্রী রদ রহিতের প্রতিকার ছাড়াই চলতে পারে। তাই নির্দিষ্ট কোর্ট ফীস্ দিলেই চলবে। কোন ডিক্রী যদি প্রতারণা বা তঞ্চকতামূলকভাবে হাসিল করা হয়ে থাকে তা শুরুতেই বাতিল এবং উহার কার্যকারিতা শুরুতেই রহিত হয়ে যায়। ভাই ডিক্রী রদ করার প্রয়োজন হয়। না। কেবল তঞ্চকী ও প্রতারণামূলক বলে এবং বাদীর উপর বাধ্যকর নয় মর্মে ঘোষণামূলক প্রতিকার চাইলেই যথেষ্ট হবে। সে কারণে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রয়োজন হবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফীস প্রদান করলেই চলবে [12 DLR 224; PLD 1966 (Dhaka) 608 ] ।
যে প্রতিকারের জন্য বাদীর প্রার্থনা করা নিষ্প্রয়োজন, তথাপি উহা আরজিতে অন্তর্ভুক্ত করে অযথা ভারাক্রান্ত করা হয়েছে বলেই বাদীকে দণ্ড হিসাবে মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস্ দিতে বাধ্য করা যাবে না। তাই বাদী তার নিলাম খরিদকৃত সম্পত্তির স্বত্ত্ব থাকা সম্পর্কে ঘোষণার সহিত অবাস্তর একটি প্রার্থনা রুজু করার কারণেই মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস ধার্য করা যাবে না। সিদ্ধান্ত হয় যে, কোর্ট ফীস্ আইনের দ্বিতীয় তফসিলের ১২(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রদত্ত কোর্ট ফীস্ পর্যাপ্ত রহিয়াছে [12 DLR 642; PLD 1961 (Dacca) 191] ।
বাদী ঘোষণা চান যে, ওয়াকফ দলিল (যাহাতে তিনি পক্ষ নহেন) বাতিল এবং অকার্যকরী এবং আরও প্রতিকার চান যে, নালিশী সম্পত্তি বাটোয়ারা মর্মে প্রাথমিক ডিক্রী প্রদানের পর সরেজমিনে বাটোয়ারা করতে হবে। ইহাতে সিদ্ধান্ত হয় যে, কার্যকরী প্রতিকার হচ্ছে ঘোষণামূলক প্রতিকারটি, ভাই গঠিত আরজির কারণে বাদীকে মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী দিতে হবে না [21 DLR 468]
পিতার বেনামদার হিসাবে পুত্র নালিশী জমি দখল করে এ উক্তিতে পুত্রকে বেনামদার ঘোষণার মামলা করলেই চলবে না। যেহেতু পুত্র সম্পত্তির দখলকার সেহেতু পিতাকে খাস দখলও চাইতে হতো [21 DLR (DB) 466]
যে মামলাটি চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য অথবা ঘোষণামূলক প্রতিকারের ভিত্তিতে আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী চাওয়া হয় সেখানে বাদীকে মূল্যমানের উপর মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী দিতে হবে। তবে বাণী নিজের ইচ্ছানুযায়ী মূল্যমান নির্ধারণ করতে পারবে [19 DLR (DB) 221]।
বাদী যখন বিক্রয় দলিল বাতিল ঘোষণা এবং চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করে মামলা রুজু করে, সেখানে বাদীকে ঘোষণামূলক প্রতিকারের জন্য নির্ধারিত কোর্ট ফীস্ এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য কোর্ট ফীস্ দিলেই চলবে। মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস্ দিতে হবে না [18 DLR (DB) 605, PLD 1967 (Dacca) 203]।
কতিপয় দলিল বাতিলযোগ্য বলে রন রহিত করার মামলায় মূল্যানুপাতিক কোর্ট, ফীস্ দিতে হবে। বাদী যে দলিলে পক্ষ ছিল সেই দলিলটি তঞ্চকী, ভুল বুঝিয়ে হাসিল করা হয়েছিল এবং অবৈধ প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত করা হয়েছিল বলে ঘোষণাসহ আনুষঙ্গিক প্রতিকার চাওয়ায় মূল্যানুপাতিক কোর্ট কীস্ নিতে হবে [21 DLR (DB) 507: PLD 1969 (Dacca) 357]।
বাদী ডিক্রী রদ রহিত-এর মামলায় এখতিয়ার এবং কোর্ট ফীস-এর উদ্দেশ্যে স্ববিবেচিত মূল্য উল্লেখ করতে পারবে এবং এক্ষেত্রে ৭ (iv) (গ) ধারা প্রযোজ্য হবে [16 DLR 49; PLD 1964 (Kar.) 386; PLD 1949 Lah. 46]
ভিন্ন রকম ধরিয়া নেওয়ার সন্তোষজনক কোন কারণ না থাকলে ঘোষণামূলক প্রতিকারকে অনুসরণ করে এমন প্রত্যেকটি প্রতিকারই আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে গণ্য হবে [PLD 1957 Lah. 126]। যেখানে নালিশী সম্পত্তিতে বাদী মালিক হিসাবে বাদীর স্বত্ব রয়েছে বলে এবং
বিবাদীর কোন স্বত্ব এবং অধিকার নাই মর্মে দুইটি ঘোষণামূলক প্রতিকার চাওয়া হয়,
যেখানে দ্বিতীয় প্রতিকারটি প্রথম প্রতিকারের আনুষঙ্গিক প্রতিকার বলে গণ্য হবে এবং
বাদীকে মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী দিতে হবে [PLD 1967 [Dacca) 164]। অধিকার ঘোষিত হওয়া থেকে যে প্রবাহ অনুসারিত হবে তাই অনুবন্ধি প্রতিকার। বাদী ঘোষণামূলক এবং অনুবন্ধি প্রতিকার উভয়ই প্রার্থনা করে থাকলে কোর্ট ফী আইনের ৭ (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী দিতে হবে [PLD 1967 Kar. 733] 1
কোন মনগড়া মূল্যমান নির্ধারণ করা যাবে না [PLD 1973 Kar. 653] 1 যেখানে কোন বাদী কোন আদেশ, ডিক্রী, দলিল বা লেনদেন সম্পর্কে ঘোষণা চেয়েছে তা কার্যত রদ মর্মে ঘোষণামুলক প্রতিকার আকারে ব্যক্ত বা অব্যক্তভাবে চাওয়া হয়ে থাকলে ৭. (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী কোর্ট ফীস দিতে হবে। তবে কোর্ট ফীস-এর উদ্দেশ্যে বাদী তার ইচ্ছা মাফিক মূল্যমান নির্ধারণ করতে পারে [PLD 1957 Lah 126) t
হাইকোর্টের আপীলে প্রতিবাদী পক্ষ পাল্টা আপত্তি দাখিল করে, উহার মূল্যমান ১০ টাকা নির্ধারণ করে। প্রতিপক্ষ মূল্যমান সম্পর্কে এ মর্মে আপত্তি দেয় যে, বিষয়বস্তুর মূল্যানুযায়ী পাল্টা আপত্তির মূল্যমান নির্ধারণ করতে হবে। সিদ্ধান্ত হয় যে, ৭ (v) ধারার ন্যায় ৭ (iv) ধারায় কিভাবে মূল্যমান গণনা করতে হবে তা বলা হয় নাই । পক্ষান্তরে, বাণী তার প্রার্থিত প্রতিকারের জন্য ইচ্ছা মাফিক মূল্যমান ধার্য করতে পারে। এ সুবিধা পাল্টা আপত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই পাল্টা আপত্তি অপর্যাপ্ত স্ট্যাম্পযুক্ত, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘাটতি কোর্ট ফী দাখিল করতে হবে [PLD 1959 Lah. 621]।
ঘোষণামূলক এবং আনুষঙ্গিক প্রতিকারের মামলায় বাদীর ইচ্ছাধীনে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের মূল্যমান নির্ধারণ করায় উহা কোর্ট ফীস্ এবং আদালতের এখতিয়ার উত্তর এর জন্যই প্রযোজ্য । যেখানে আপীলকারী পক্ষ প্রতিকারের মূল্যমান কোর্ট ফীস্ এবং এখতিয়ারের জন্য নির্ধারণ করেছে, সেখানে ধরে নিতে হবে যে, ঐ মূল্যমান তাদের প্রার্থিত প্রতিকারের জন্য [PLD 1973 Kar. 633]।
আরজিতে ঘোষণামূলক মামলা বলে লেখা থাকলেও শুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াও অন্য কোন অতিরিক্ত প্রতিকার যোগ হয়ে থাকলে উহাকে কেবলমাত্র ঘোষণামূলক মামলা বলা যায় না। এরূপ মামলায় কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী কোর্ট ফীসৃ গণনা করতে হবে (PLD 1959 Bal. I AIR 1943 Oudh. 361; AIR 1957 Pat. 711]
যেখানে আরজির গর্ভের বক্তব্য হতে প্রকাশ পায় যে, মামলাটি শুধুমাত্র
প্রতারণামূলক ডিক্রী বলে ঘোষণাই নয় বরং ঐ ডিক্রী রদ রহিতের জন্যও বটে, সেখানে
মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস দিতে হবে (PLD 1959 Pesh. 101]।
শুধুমাত্র ঘোষণামূলক প্রতিকারের জন্য মামলাটি চলতে থাকাবস্থায় বাদী পক্ষের দখলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় বা বাদী পক্ষ বেদখল হওয়ায় আরজি সংশোধনক্রমে খাস দখলের প্রার্থনা করা হলে মামলার আকৃতি ও প্রকৃতিগত কোন পরিবর্তন হবে না, মামলাটি ঘোষণামূলক প্রকৃতিরই থাকবে। কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী প্রদত্ত কোর্ট ফী পর্যাপ্ত রয়েছে [PLD 1981 Lah. 696 |
বাদী কোন দলিলে বা ডিক্রীতে পক্ষ থাকা সত্ত্বেও উহা বাতিল বলে ঘোষণার ডিক্রী চাইতে পারে। বাদী ঐ দলিল বা ডিক্রীতে পক্ষ থাকায় তার প্রার্থিত প্রতিকার আনুষঙ্গিক প্রতিকারের মত হয়ে থাকে। এখানে বাদী তার ইচ্ছানুযায়ী মূল্যমান নির্ধারণ করতে পারবে। তার স্ববিবেচনামূলক মূল্যমান দলিল বা ডিক্রীর মূল্যমানের সহিত যতই অসঙ্গতিপূর্ণ হোক না কেন, তাতে কিছু আসে যায় না [PLD 1949 Lah. 46111
কোন বন্ড বাতিল ও পন্ড বলে ঘোষণামূলক মামলায় আরজির সহিত কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফী দিতে হবে [PLD 1953 Bal. 26] 1
৫/৫/১৯৫১ তারিখের ইস্তফা পত্র বাতিল, অকার্যকরী, পন্ড এবং তদ্বারা দাইকের মহালে বাদীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় নাই এবং উক্ত দলিল রদ রহিত হবে । ইহা সিদ্ধান্ত হয় যে, দলিল রদ রহিতের প্রার্থনাটি আনুষঙ্গিক প্রতিকার বিধায় বাদীকে কোর্ট ফাঁস ৭ (iv) (গ) ধারা অনুযায়ী মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস দিতে হবে | PLD 1957 Lah. 126] |
বাদী কর্তৃক নির্ধারণকৃত মূল্যমান অত্যধিক কম হয়ে থাকলে আদালত এ ধারার ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং বাদীকে মূল্যমান সংশোধন করার নির্দেশ দিতে পারেন [PLD 1967 Kar. 468; AIR 1955 Pat. 469: AIR 1957 Pat. 560; AIR 1958 Pat. 201; AIR 1954 Pat. 406]।
হিসাবের মামলায় বাদীর বর্ণিত মূল্য যতই মনগড়া হোক না কেন তাতে কিছু আসে যায় না। বাদীর বিবেচনাকৃত মূল্যমানকেই যথেষ্ট বলে ধরে নিতে হবে [PLD 1949 Lah. 8; AIR 1950 Pat. 316]। মামলা মূল্যায়ন আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী কোর্ট ফীস্ আইনের ৭ (iv) (গ) ধারার
উদ্দেশ্যে এখতিয়ার নির্ধারণের জন্য যে পরিমাণ মূল্যমান ধার্য করা হবে কোর্ট ফীস্
প্রদানের জন্যও তাই মূল্যমান বলে ধরে নিতে হবে [PLD 1967 Lah. 75] 1 ডিক্রী রদ রহিতের মামলার মূল্যমান ও কোর্ট ফীস নির্ধারণের নীতি সম্পর্কে দ্বিমত রয়েছে। একটি নীতিতে বলা যায় যে, ডিক্রী রদ রহিত চাওয়া হবে ঐ ডিক্রীতে বর্ণিত মূল্যমানই রদ রহিতের মামলার মূল্যমান বলে ধরে নিতে হবে [PLD 1967 Kar. 486; AIR 1937 Sind. 24] |
বিবাদী কর্তৃক দ্বিতল ভবনের বেশী নির্মাণ না করা হতে নিবৃত্ত রাখার জন্য চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞামূলক ডিক্রী চাওয়া হলেও বাদী তার বিবেচনামূলক মূল্যমান নির্ধারণ করে উহার উপর মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস্ প্রদানে মামলা চালাতে পারে। (PLD 1982 Kar. 490] 1
বিবাদী কর্তৃক দ্বিতল ভবনের অতিরিক্ত দালান নির্মাণ করা হতে নিবৃত্ত রাখার চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলায় ২৬,০০০/- টাকা ধার্য করে সেই অনুসারে কোর্ট কী দেওয়া হয়। একই মামলায় দ্বিতল উপরস্থ দুইটি কক্ষ নির্মিত হওয়ায় তা ভেঙ্গে নেওয়ার ম্যান্ডেটরী নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়, কিন্তু উহার জন্য কোন মূল্যমান নির্ধারণ
করা হয় নাই, আদালত শেষোক্ত প্রতিকারের মূল্যমান নির্ধারণ করতে পারেন | PLD 1982 Kar. 340] ! bid বাদী যেখানে নির্দিষ্ট অংকের টাকা আদায়ের জন্য মামলা করে উহাকে হিসাবের জন্য মামলা বলে গণ্য করা যায়। হিসাব করতে হলে বিবাদী করবে, বাদী নির্দিষ্ট অংক
দাবী করেছে [PLD 1969 Pesh. 175]।
হিসাবের জন্য রুজুকৃত মামলায় প্রতিকারের জন্য মূল্যমান ধার্য করা হয়েছে ঐ মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফীস্ দিতে হবে [PLD 1969 Pesh. 175]।
বাদী তার ইচ্ছামাফিক মামলার ভায়দাদ ধার্য করবে। কিন্তু ভাই বলে, যেখানে ওয়াকফ সম্পত্তির মূল্য ৬৭,০০০ টাকারও বেশী সেখানে বাদী হিসাবের মামলার জন্য ২০০ টাকা তায়দাদ করতে পারে না [PLD 1971 Kar. 682 ]।
অবসায়িত অংশীদারী কারবারের হিসাবের বা অংশীদারী কারবার অবসায়নের এবং হিসাবের মামলাকে হিসাবের জন্য মামলা বলে গণ্য করতে হবে (PLD 1970 Kar. 548; AIR 1957 Mad. 667]।
আপনার কাঙ্খিত নজীরটি খুঁজে পাননি! এ বিষয়ে আরও নজীর পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।